পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু ঠাকুবাণীও ছিলেন এই শ্রেণীব এক আদর্শ মহিলা। এমন কৰ্ত্তব্যপৰায়ণা ভক্তিমতী মহিলা, জীবনে আমি খুব বেশী দেখি নাই। বন্ধুবাব যখন নেহাৎ অল্পবয়স্ক সেই সময় র্তাহাব পিতাব মৃত্যু ঘটে। আনন্দমোহনেব। মাতার ও সে সময় নিতান্ত অল্প ব্লয়াস । কিন্তু এই বুদ্ধিমতী তৰুণী অভিভাবকহীন সংসারে বা সমস্ত দায়িত্ব স্বহস্তে তুলিয়া নেন এবং সন্তানদেব শিক্ষাদীক্ষা ও জমিদারী সংক্রান্ত কাজ কৰ্ম্ম সমস্তই নিজে তত্ত্বাবধান করিতে থাকেন । সেকালে গ্ৰাম্যসমাজে যেমন কতকগুলি সুন্দবি পরিবেশ ছিল তেমন কুসংস্কাপ ও নিতান্ত কম ছিল না । গ্ৰাম্য জীবনে প্ৰায়ই একদল পদ শ্ৰী কাতিব প্ৰতিবেশী থাকিত, যাহাব। অন্যের সম্পর্কে অপপ্ৰচাব করিয়া আকাবণে অশান্তির সৃষ্টি কবিত। কিন্তু বন্ধুব বেব মাতা একাপ তেজস্বিনী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। মহিলা ছিলেন যে, তাহাব সম্পর্কে কেহ কোনদিন বিকদ্ধ সমালোচনা করিতে সাহস কবে নাই। এই বাল্যবিধবা। আজীবন স্বীয সত্যনিষ্ঠ, ত্যাগ, শুচিত দ্বাবা শ্বশুরকুলেৰ মৰ্য্যাদা ও ঐতিহ্য রক্ষা করিতে সমর্থ হন । সাংসাবিক জীবনে তঁহাকে বহু বিৰুদ্ধ পরিবেশের সম্মুখীন হইতে হয়। কিন্তু ক্ষণেকের জন্যও কেহ তঁহাকে ভগ্নোৎসাহ হইতে দেখে নাই । আনন্দমোহনের মাতাঠাকুবাণীর পতিভক্তি ছিল অপূর্ব। স্বামীর মৃত্যুর পর হইতে র্তাহার নিজ জীবনের শেষ দিন পৰ্য্যন্ত SC