পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে তিনি একাগ্ৰ ভাবে সমগ্ৰ অন্তর দিয়া তাহাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদান করিয়া গিয়াছেন। একদিন প্ৰসঙ্গক্ৰমে আনন্দমোহনের পিতা সম্পর্কে কথা উঠিতেই বৃদ্ধ ক্ষণেকের জন্য আমাদের থামিতে ইঙ্গিত করিলেন, তারপর যুক্ত কর মস্তকে ঠেকাইবার পর আমাদের আলোচনায় অগ্রসর হইতে অনুমতি দিলেন। ঘটনাটি আমার চিত্তে কৌতুহলের সঞ্চার করে, আমি এবিষয়ে আনন্দমোহনকে প্রশ্ন করি। উত্তরে বন্ধুবর বলিলেন— বাবার মৃত্যুর পর থেকে দেখে আসছি, যখনই তার সম্পর্কে কোন কথা হয় তখনই মা ক্ষণেকের জন্য তার পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশে যুক্তকর মস্তকে স্পর্শ করেন। আমার পিতৃদেবের স্মৃতি যেন মায়ের সমস্ত জীবনে একেবারে ওতপ্ৰেতি হয়ে রয়েছে । অনন্দমোহন তাহার মায়ের কথা বলিতে যেন আত্মহারা হইয়া উঠিতেন । তিনি বলিতেন-মায়ের যে কেবল স্বামী সম্পর্কেই ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল তাই নয়, তাহার অন্তর এমন উদার ছিল যে, জাতিধৰ্ম্ম-নির্বিবশেষে যে কোন মহৎ বস্তুই উহাতে সম্পন্দন জাগাইয়া তুলিত । পথে যাইতে যাইতে তিনি যদি কোন মুসলমান ফকীরের গোরস্থান অথবা দরগা দেখিতেন তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ গাড়ী থামাইয়া অবতরণ করিতেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন না করিয়া নিরস্ত হইতেন না। আনন্দমোহনের নিকট শুনিয়াছি, একবার তঁহার মা পুরীতে জগন্নাথ দর্শনের জন্য প্ৰস্তুত হন। সে সময় জলপথ ব্যতীত সেখানে যাওয়া যাইত না। ষ্টীনার ভাড়া করিয়া সকলৈ মিলিয়া Y'd V9