পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে স্থির-মুখমণ্ডল অপূর্ব ভাবমণ্ডিত। তিনি যেন এক অন্য জগতের মানুষ। আমাদের পবিচিত আনন্দমোহনকে আবুত করিয়া এক উর্দলোকচারী সত্তা যেন সেখানে বিরাজমানতাহার বাহিত্যুজ্ঞান ও তখন যেন লোপ পাইয়াছে। মনে হইল। নিকটে থাকিয়া ও তিনি বহু দূরের মানুষ। আমি বিস্ময়বিমূঢ় হইয়া দাড়াইয়া রহিলাস । কিছুক্ষণ এভাবে অতিবাহিত হইবার পর আনন্দমোহন শোকসািন্তপ্ত পত্নীর নিকট অগ্রসর হইয! আসিলেন । একত্রে তিনজনে একটি বৃক্ষতলে বসিলাম । স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করিয়া তিনি শাস্ত কণ্ঠে বালিতে লাগিলেন-দেখি, মনে কোন ক্ষোভ রেখে না, ভগবান যা কবেন মঙ্গলের জন্যই করেন । আমরা সাংসারিক বুদ্ধি দিয়ে বিচার কবতে গিয়ে বহু সময় দুঃখ ভোগ করি, সেই সঙ্গে দুঃখের অন্তরালবৰ্ত্তী পৰম সত্যটিকে বিস্মৃতি হই। সব সময় মনে রাখবে দুঃখ বা আঘাত অভিশাপ নয়, তা ভগবানের আশীৰ্বাদ । আঘাত না পেলে কখন ও ভগবদ্যুভক্তি জাগে না। মহাপুৰুষদেব জীবন আলোচনা। যদি কর দেখবে, প্ৰত্যেকের জীবনেই শোক, দুঃখ বা যেকোন মৰ্ম্মান্তিক আঘাতের মাধ্যমেই মহত্তর সত্তার অবতরণ ঘটেছে। ঈশ্বরের সৃষ্ট আঘাতের পেছনে সব সময়ই একটি কল্যাণের ইঙ্গিত থাকে। পরম প্রভুর করুণার ওপর আস্থা রেখে যদি তার পায়ে পরিপূর্ণ আত্মসমৰ্পণ করতে পাের, তবে দেখবে সমস্ত দুঃখ আঘাত ভিন্নতর রূপ নিয়ে তোমার জীবনে দেখা ক্লিয়েছে । SR R