পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু কেশব সেনের নিকট পত্র প্রেরণের পর আশানুরূপ ফল না। পাইয়া আনন্দমোহন কিন্তু ক্ষুব্ধ হন নাই। ইহার পরও তিনি র্তাহার গৃহে গমন করিয়া একটি সু-মীমাংসায় আসিবার জন্য তাহাকে অনুরোধ জানাইয়াছেন। তখন সামগ্রিকভাবে ব্ৰাহ্মসমাজের কল্যাণচিন্তা তাহাকে এতই চিন্তিত করিয়াছিল যে, ব্যক্তিগত প্ৰীতি- অপ্রীতির কোন প্রশ্ন তাহার মনে জাগে নাই । কেশববাবু, কিন্তু প্ৰতিপক্ষের এত অনুরোধ সত্ত্বে ও কৃতকৰ্ম্ম সম্পর্কে কোন মতামত ব্যক্তি করিলেন না । ১৮৭৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী কলেজ ষ্ট্রীটস্থ নবপ্রতিষ্ঠিত ইণ্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশন হলে কয়েকজন বন্ধু এই বিষয়টির মীমাংসার জন্য একটি সভা আহবান করেন। আমি তখন ইণ্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশন হলে অবস্থান করিতেছি । কোন্নগরের প্ৰবীণ ব্ৰাহ্ম সদস্য, শিবচন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে বিরুদ্ধবাদীদের সম্মিলিত প্ৰতিবাদস্বরূপ একখানি পত্ৰ কেশববাবুর নিকট প্রেরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু এ সম্পর্কে একটি সমস্যাও দেখা দেয়। হাইকোটের উকিল ডি এম, দাস ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশনের সেক্রেটারী ডি, এন, গাঙ্গুলী প্ৰশ্ন তুলিলেন—যদি কেশববাবু এই পত্রের দাবী অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা না করেন তখন আমাদের পরবত্তী কাজ কি হবে ? তখন কি আমরা আর একটি নতুন সমাজ গঠন করতে উদ্যোগী হব ? Y RC