পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে দুই পা ধরিয়া টানিতে টানিতে আমাকে টেবিলের নীচ হইতে আবিষ্কার করিলেন। চিৎকারে আনারও নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গেল । ততক্ষণে উচ্চহাস্যে ঘরখানি মুখরিত হস্টিয়া উঠিয়াছে। আমার পা দুইটি তখন ও আনন্দমোহনের হাতে। আমার অসহায় অবস্থার কথা জানাইলে হাসিতে হাসিতে তিনি আমার পাশে কাপোটের উপর গড়াইয়া পড়িলেন। পরবত্তীকালে প্ৰায়ই তিনি এ প্রসঙ্গ তুলিয়া আমায় উপহাস করিতেন । সকল মানুষেরই অল্প বিস্তর ক্লান্তি থাকে। কিন্তু আনন্দমোহনকে ক’ান ও ক্লান্ত হইতে দেখি নাই । তাহার। প্ৰাণপ্ৰাচুৰ্য্য অনেক সময়ই সহকৰ্ম্মীদের মনে ভীতির সঞ্চার কারিত। কলিকাতায় সমাজের কাৰ্য্যকারী সমিতির বৈঠক যেদিন বসিত সেদিন সহরতলী হইতে র্যাহার। আসিতেন। তঁহারই পড়িতেন বেশী বিপদে। বৈঠকের কার্য্যসূচী শেষ হইলে ও আলাপ আলোচনায় আনন্দমোহন সকলকে আটকাইয়া রাখিতেন । কোহ যাইবার জন্য চেয়ার ছাড়িয়া উঠিলে আমনি ক্ষি প্ৰপদে তাহার নিকট গিয়া তাহাকে জোর করিয়া চেয়ারে বসাইয়া দিয়া হাসিতে হাসিতে বলিতেন—মশাই, আপনি একাই বুঝি ধাড়ী যাবেন ? একটু পরে তো সকলেই যাচ্ছে, এত তাড়া কিসের ? —কিন্তু এই ‘একটু পরে’ কোন সময়ই দুই এক ঘণ্টার পূর্বে দেখা দিত না । ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দের প্রথম দিকে দুইটি বিশেষ উদেষ্ট লইয়া ᏕᎸᏓ