পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে একদিনের কথা মনে পড়ে। সেদিন বেশী রাত্রি হওয়ায় আনন্দমোহনের গৃহেই আহার করিলাম। অতঃপর দুইজনে তাহার পাঠকক্ষে বসিয়া আলোচনায় মগ্ন হইয়া গেলাম । ঘড়িতে কয়টা বাজিয়া গেল সেদিকে কারুরই কোন খেয়াল নাই। হঠাৎ পাশের দরজা ঠেলিয়া বন্ধুপত্নী আবির্ভূত হইলেন, উভয়েই সন্ত্রস্ত হইয়। উঠিলাম। র্তাহার বিস্মিত দৃষ্টির সম্মুখে নিজেদের অপরাধী বোধ না করিয়া পারিলাম না । তিনি আমাদের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া বলিলেন-কটা বেজেছে খেয়াল আছে কি ? ঘড়িতে কয়টা বাজে বলতো ? আনন্দমোহন উচ্চহাস্যে রাত্রির নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া বলিলেন- আমরা কিন্তু বাজে কাজ কচ্ছিনে, খুব প্রয়োজনীয় আলোচনাই হচ্ছিল । হাস্য পরিহাসের মধ্যে আমরা আলোচনা হইতে নিবৃত্ত হইলাম ও অবশিষ্ট রাত্রি দুইজনে একত্ৰে শয়ন করিয়া কাটাইলাম । আইনব্যবসায় আনন্দমোহনের উপজীবিকা। কিন্তু এই অতি প্ৰয়োজনীয় কৰ্ম্মটি সম্পর্কেই তা হার ঔদাসীন্য ছিল যেন সর্ববাধিক । অনেকে বলাবলি করিতেন, উনি তো অন্য কাজেই সকল সময় ব্যয় করেন, নিজের কাজ করেন। কখন ? সত্য কথা বলিতে কি, এ প্রশ্ন মাঝে মাঝে আমার মনেও জাগিত । তাহার এটর্ণ অনেকদিন সখেদে আমাকে বলিয়াঁছৈন— SV) D