পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে
সে সময়ে ইংরেজ রাজপুরুষগণ ভারতবাসীর মৰ্য্যাদা দান সম্পর্কে যে ঔদাসীন্য প্ৰদৰ্শন করিতেন তাহা দেশপ্ৰেমিক ঈশ্বরচন্দ্রের আত্মমৰ্য্যাদায় আঘাত না দিয়া পারে নাই । তিনি অবিলম্বে সরকারী চাকুরী ত্যাগ করিতে এতটুকু ইতস্ততঃ করিলেন না, - যদিও তিনি বিলক্ষণ জানিতেন, তাহার ভাগ্যে অদূর ভবিষ্যতে নিদারুণ অভাব অনটনই অপেক্ষা করিতেছে। উচ্চ চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর তিনি নানা প্ৰকার অস্বচ্ছলতার মধ্যে দিন অতিবাহিত করিতে থাকেন এবং এই সময়েই তিনি বিধবা বিবাহ পুনঃপ্ৰবৰ্ত্তনেব গুরু দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন । এই আন্দোলনে বিদ্যাসাগর এমন ভাবেই জড়িত হইয়া পড়েন যে, ইহার দুই তিন বৎসরের মধ্যে তাঁহার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য হইতে আমি বিচ্ছিন্ন হইয়া যাই ।
অতঃপর মাতুলের বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্র সোমপ্রকাশের সম্পাদকমণ্ডলীতে সংশ্লিষ্ট হই যা পড়ায় তিনি প্ৰায়ই আমাদের বাসায় আসিতেন । কিন্তু কিছুকাল পরে মাতুল পত্রিকাখানির সম্পাদক ও মালিক হওয়ায় ক্রমে তাঁহার যাতায়াত কমিয়া যায় এবং ইহার পর ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত তাহার সহিত আমার মাত্র কয়েক বার সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু যখনই তাঁহার সহিত সাক্ষাৎকার ঘটিয়াছে তখনই তাহার অকৃত্রিম ও অফুরন্ত স্নেহলাভে নিজেকে ধন্য মনে না করিয়া পারি নাই ।
১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে আমার সহপাঠী পণ্ডিত যোগেন্দ্ৰনাথ বিদ্যা