পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে দিন ইংল্যাণ্ডে বাস করিবার ইচ্ছা আমাদের জানান। আমরা তাহার উদ্দেশ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া অর্থসংগ্রহে প্ৰবৃত্ত হই। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতাই শেষ পৰ্য্যন্ত তাঁহাকে ও আমাদের সকলকে এ সঙ্কল্প ত্যাগ করাইতে বাধ্য করে। ঐশী বিধানে র্যাহারা অফুরন্ত প্ৰাণশক্তি লইয়া এই পৃথিবীর মাটিতে জন্মগ্রহণ করেন, সীমাবদ্ধ জীবনের খ্যাতি প্ৰতিপত্তি, সম্পদের মোহ তাহদের আকৃষ্ট করিতে পারে না । আনন্দমোহনের জীবনে ইহাই দেখা গিয়াছিল। মহত্তর জীবনের বীজ লইয়। তিনি আসিয়াছেন, হাইকোটে প্র্যাকটিস করিয়া অর্থ ও যশ লাভ করিয়া তাহার তাই তৃপ্তি কই ? সে সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের কৰ্ম্ম ও চিন্তাকে তিনি অত্যন্ত ভয় পাইতেন । কিন্তু যখনই তিনি কোন বৃহত্তর কৰ্ম্মে অংশ গ্ৰহণ করিতেন তখনই তাঁহার মধ্যে যেন এক অলৌকিক শক্তি সঞ্চারিত হইত। দেশের ও দশের কাজকে তিনি প্ৰকৃত কৰ্ম্মের আখ্যা দিতেন এবং তাহা করিতেই উৎসাহ বোধ করিতেন। তাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির ভাষণে, ফেডারেশন গ্ৰাউণ্ডের উদ্বোধনী বক্তৃতায় আনন্দমোহনের যে পরিচয় পাওয়া যায় তাহা যেমন বলিষ্ঠ তেমনি মহৎ । সে ভাষণের উদাত্ত সুর যে কোন ব্যক্তির চিত্তকেই দেশপ্রেমে উদ্বদ্ধ করিতে সক্ষম। দেশে ফিরিয়া আনন্দমোহন শিক্ষা ও সমাজসংস্কারে মনোনিবেশ করেন। নবপ্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তরিত করিবার মত কোন পরিকল্পনা আমার মনে না থাকিটােও বন্ধুSVS