পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু বর। কিন্তু তাহার প্রবল ইচ্ছার স্রোতে আমাকে ভাসাইয়া লইয়া গেলেন । তঁহার ইচ্ছা ছিল, বিদ্যালয়টিকে কলেজে পরিণত করিয়া পুণা ফারগুসন কলেজের মত একটি বিশ্বভ্রাতৃত্বে উদ্বদ্ধ কৰ্ম্মপরিষদের হস্তে সমর্পণ করা । কিন্তু তাহার এই প্ৰস্তাবটি কলেজের অন্যান্য কৰ্ম্মীবৃন্দ ও ব্ৰাহ্ম বন্ধুবান্ধবগণ কর্তৃক প্ৰত্যখ্যাত হয়। অনেকে কঠোরভাবে ইহার সমালোচনাও করেন। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্ৰ করিয়া আনন্দমোহনকে বড়ই কঠিন আঘাত পাইতে হয়। কিন্তু ইহাতে তিনি কোনদিনই বিচলিত হন নাই । বন্ধুবর মহান আদর্শের উপরই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং সুচারুরূপে উহা পরিচালনা করার উদ্দেশে কয়েকজন সদাশয় ব্যক্তি দ্বারা গঠিত একটি ট্রাষ্টির উপর ভার অর্পণ করেন । মানুষের চরিত্রে যে সব গুণের সমাবেশ ঘটিলে তাহাকে প্ৰকৃত মনুষ্যত্বের অধিকারী বলিয়া বলা যাস আনন্দমোহনের জীবনে সেগুলির অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়াছিল। আমার বন্ধু বলিয়াই যে এ প্ৰশংসা করিতেছি তাহা নয়, সত্যই তঁাহার চরিত্রের পরিপূর্ণতা আমাকে বিস্মিত করিয়া দিত। অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই দুইটি সুস্পষ্ট ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব দেখা যায়—একটি নিজস্ব অন্তমুখীন ব্যক্তিত্ব, অপরটি তাহার বহিরঙ্গ ব্যক্তিত্ব। দ্বিতীয়টির প্রভাবেই মানুষ অপরের চক্ষে নিজেকে মহৎ, সৎ ও বিরাট প্ৰতিপন্ন করিতে চায়। কিন্তু আনন্দমোহনের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে দীর্ঘ দিন বাস করিয়াও তেঁাহার Soo