পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে পেয়ালাটি সেই অবস্থায় পড়িয়া আছে এবং আনন্দমোহন গভীর মনোযোগ সহকারে স্তুপীকৃত কাগজপত্র ও পুস্তকমধ্যে নিমগ্ন হইয়া বসিয়া আছেন। তঁহার পাঠে বিয়ু না ঘটাইয়া তাহার স্ত্রী কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া আসেন, ক্ৰমে প্ৰান্তরাশের সময় অতিবাহিত হইয়া যায় । তথাপি আনন্দমোহনের কোন সাড়া শব্দ নাই। ভূত্য ডাকিতে গিয়া বারবার ফিরিয়া আসে ও জানায়—বাবু এক্ষুণি আসিতেছেন। কিন্তু “এক্ষুণি” বহুক্ষণে পরিণত হইতে চলিল। তঁহার পত্নীও দুইবার একই মন্তব্য শুনিয়া ফিরিয়া আসিলেন । পরিবারস্থ ব্যক্তিদের হতাশ হইয়া বসিয়া থাকা ছাড়া গত্যন্তর রহিল না। বেলা প্ৰায় দুইটার সময় একটি জরুরী কৰ্ম্মে আমি তাহদের বাড়ী গিয়া সকলকে হতাশ হইয়া বসিয়া থাকিতে দেখি । বন্ধুপত্নীর নিকট সমস্ত শুনিলাম এবং তঁহার মুখের দিকে তাকাইয়া আমার বড় মমতার সঞ্চার হইল । সোজা বন্ধুবরের পাঠকক্ষে প্ৰবেশ করিলাম ও কিছু প্রশ্ন করিবার অবসর না। দিয়াই তঁাহার হাত দুইটি ধরিয়া একরকম জোর করিয়াই আহারের টেবিলে টানিয়া আনিলাম । জীবনের শেষাংশে আনন্দমোহনের অধ্যাত্ম-আবেগ স্পষ্টরূপে বৃদ্ধি পায় । তিনি মাঝে মাঝেই তঁহার দমদমের নির্জন গৃহে বসবাস করিতেন। এই সময়ে শুধু একটি ভূত্য র্তাহার নিকট থাকিত, আনন্দমোহনের নির্জনবাসের পক্ষে সে খুবই সহায়ক ছিল। কারণ বাবু কক্ষে বসিয়া একবার ধ্যানমগ্ন হইলে ఎని