পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে BS DBD DDLD SLgKD BBB DBDS মন্দির পাশ্বাস্থ অধিবাসীদের নিকট এই সাধকের জীবন-বৃত্তান্ত অনুসন্ধানে জানিলাম, ইনি একজন নিরক্ষার দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ, রাণী রাসমণির কালীমন্দিরের পূজারীরূপে দক্ষিণেশ্বরে সর্বপ্রথম আসেন। কিন্তু নিজের অসাধারণ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কঠোর তপস্যাবলে ঈশ্বর-সাক্ষাৎকার লাভ করেন। প্রতিবেশীরা আরও বলে যে, মরদেহে এৰূপ শক্তির প্রকাশ নাকি খুব অল্পই ঘটয়া থাকে। ইহার পর মাঝে মাঝেই তাহার নিকট যাইতে থাকি এবং এই যাতায়াতের ফলে আমাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠতা জন্মে। এই সময় তাহার নিজের মুখ হইতে যে সকল ঘটনা শুনি তাহাই এখানে বর্ণনা করিতেছি। তিনি বলেন-পূজারী হইয়া যখন এই মন্দিরে বাস করিতেন তখন তিনি বহু মহাপুরুষ ও সাধুসন্তের ব্যক্তিগত সান্নিধ্য লাভ করেন। তাহার কারণ, সে সময় সাধুসন্ন্যাসীরা পুরী বা জগন্নাথ দর্শনের পথে এই মন্দির দর্শন করিতে আসিতেন এবং অনেকে আবার কয়েক দিনের জন্য এখানে অবস্থানও করিতেন। এই সকল সিদ্ধ সাধকগণের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য রামকৃষ্ণের জীবনে এক বিরাট পরিবর্তন আনিয়া দেয়। শিশুকাল হইতে স্বাভাবিকভাবেই তঁহার ভিতর অধ্যাত্মতৃষ্ণা প্ৰবল ছিল। বৰ্ত্তমান পরিবেশ উহাকে আর তীব্রতর করিয়া তুলে। ফলে সমগ্ৰ মন প্ৰাণ ভগবানে সমৰ্পণ করিয়া পরম প্ৰাপ্তির জন্য তিনি কঠোর তপস্যায় ব্ৰতী হন। শ্ৰীরামকৃষ্ণের জীবনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য বাণী ছিল8R