পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ। তিনি মুমুক্ষদের বলিতেন, অধ্যাত্মিসাধনার পথে কামিনী কাঞ্চনকে বিধবৎ ত্যাগ করিতে হয় । তিনি কিভাবে নিজ জীবনে এই বোধটি সম্যকভাবে উপলব্ধি করেন, তাহার বর্ণনা আমাকে চমৎকৃত করে । তিনি বলেন যে, সাধক জাবনে কাঞ্চন সম্পর্কে আসক্তি ত্যাগ করিবার বাসনায় তিনি এক হস্তে কিছু ধূলি ও অপর হস্তে কয়েকটি মুদ্রা লইয়া গঙ্গার তীরে গিয়া বসিতেন এবং ধূলি ও মুদ্রা এই দুইটিবস্তুই যে মূলতঃ এক বস্তু ছাড়া আর কিছুই নহে এইটি বোধ করিতে চেষ্টা করিতেন। এই সময় তাহার মুখে ক্ৰমাগত উচ্চারিত হইতমাটি টাকা, টাকা মাটি। একাগ্র মননশীলতার বলে যখন দুইটি বস্তুই তাহার নিকট একাকার বলিয়া প্ৰতীয়মান হইত। তখন ধূলি ও মুদ্র। দুই-ই অবলীলায় তিনি গঙ্গাবক্ষে নিক্ষেপ করিতেন। কামিনীর সঙ্গ ত্যাগ সম্বন্ধেও তাহার প্রচেষ্টা কম চমকপ্ৰদ নয় । এই স্বল্প পরিসর স্থানে সমস্ত ঘটনার বিবৃতি সম্ভব নয় । তবে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, সাধন-জীবনে সিদ্ধিলাভের পরও কোন নারীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে তিনি আসিতে পারিতেন না। কোন ভক্ত শিষ্যা তাহার পাদস্পর্শ করিতে অগ্রসর হইলে তিনি অত্যন্ত চঞ্চল হইয়া বলিয়া উঠিতেন-ঠিক আছে, ঠিক আছে ! ওখান থেকে প্ৰণাম করলেই চলবে, মা। আর কাছে এগিয়ে আসবার প্রয়োজন নেই। নারীদের সম্পর্কে শ্ৰীরামকৃষ্ণুের এই মনোভাব সম্বন্ধে আমার একটি বিশেষ কৌতুহল ছিল। আমি একদিন তাঁহাকে প্রশ্ন VO