পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে করিলাম-আচছা, মহিলারা আপনার চরণ স্পর্শ করতে এলে আপনি এমন ব্যস্ত হয়ে উঠে তাদের নিরস্ত করেন কেন ? সাধক প্ৰবর আমায় উত্তর দিলেন-কামিনী ও কাঞ্চন এ দুইটি বস্তু স্পর্শ করিবার তাহার উপায় নাই। ইহাদের স্পৰ্শমাত্রই তিনি অচৈতন্য হইয়া পড়েন। আমার সম্মুখে আমি কোন মহিলাকে তাহার দেহ স্পর্শ করিতে দেখি নাই, কিন্তু কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া স্বচক্ষে দেখিয়াছি। একদিন একটি কৌতুহলী ব্যক্তি শ্ৰী রামকৃষ্ণের কামিনাকাঞ্চন ত্যাগের সত্যতা পরীক্ষার্থে তাহার হস্তে হঠাৎ একটি মুদ্র। স্থাপন করে। আমি তখন তঁহার কক্ষেই উপবিষ্ট। বিস্মিত হইয়া দেখিলাম, মুদ্রাটি যেন তাহার দেহে তড়িত-প্রবাহের কাজ করিল। সেই মুহূৰ্ত্তে তিনি মূচ্ছিত হইয়া পড়িলেন এবং যতক্ষণ না মুদ্রাটি ভঁাহার হস্ত হইতে উঠাইয়া লাওয়া হইল। ততক্ষণ সে দেহে চেতনার কোন লক্ষণ প্ৰকাশ °छेव्ग न । সেদিন বুঝিলাম, বৈরাগ্য র্তাহার সমগ্ৰ চেতনায় একেবারে ওতপ্ৰোত হইয়া গিয়াছে। কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ শ্ৰীরামকৃষ্ণের সাধনার একটি গুৰুত্বপূর্ণ অংশরূপেই গণ্য হইত। তিনি স্বয়ং এই নিয়ম পালন সম্বন্ধে সব সময়েই অত্যন্ত সচেতন থাকিতেন। আমার সহিত যখন র্তাহার প্রথম পরিচয় হয়। সে সময় রামকৃষ্ণের সহিত র্তাহার সহধৰ্ম্মিণী সারদা দেবীর বস্তুতঃ কোন ব্যবহারিক সম্পর্ক ছিল Y88