পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে
করিলে ইহা বুঝা যাইবে । পূর্বোক্ত বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একটি বন্ধু তাঁহার এক নবম বর্ষীয়া বালিকা কন্যাকে লইয়া উপস্থিত হন। পিতার আদেশে বালিকা পণ্ডিত মহাশয়কে প্ৰণাম করিলে তিনি আশীৰ্ব্ববাদ করিলেন - “মা আয়ুষ্মতী হও । রাজার মত তোমার স্বামী হোক, তারপর বিধবা হয়ে আমার কাজ অগ্রসর হবার ক্ষেত্রটি তৈয়ার কর - অর্থাৎ, আমি তখন যেন আবার বিধবা বিবাহ দেবার একটা সুযোগ পাই ।”
তাঁহার এইরূপ কৌতুকপূৰ্ণ আশীৰ্বাদ শ্রবণে উপস্থিত সকলে উচ্চরবে হাস্য করিয়া উঠিল । বিদ্যাসাগর মহাশয়ও বালকসুলভ সরল হাসি হাসিয়া বলিলেন,-“বন্ধুদের কন্যারা যদি বিধবা না হয়, তাহলে আমার আদর্শ বাস্তবে পরিপূর্ণ হবে কিরূপে, বলতো ? সমস্ত সমাজ যেরূপ বিধবা বিবাহের বিরুদ্ধে তাতে এরূপ ঘটনা ছাড়া আমার কৰ্ম্মসূচী কাৰ্য্যে পরিণত হওয়া তো সম্ভব নয়।"
বিবাহ তো হইয়া গেল । কিন্তু ইহার পর বহুতর জটিল সমস্যা আসিয়া দেখা দিল । এই বিবাহের উদ্যোক্তাদেরও কম লাঞ্ছনার মধ্যে পড়িতে হয় নাই। নবদম্পতির কৃতকৰ্ম্মের শাস্তি হিসাবে সমাজ তাহদের অপাংক্তেয় করিয়া রাখে এবং তাহাদের নিঃসঙ্গ জীবনের কষ্ট লাঘব করিবার জন্য আমি তখন তাহাদের বাটীতেই বাস করিতে লাগিলাম ।
আমাদের এই সংগ্ৰামময় জীবনের বেদনাক্লিষ্ট স্পন্দন