পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशन श्रृंवcद्र नांaिgक्ष) —এক বাগানে একটা আম গাছের নীচে দুই বন্ধু পথশ্রাস্ত হয়ে এসে বসলে । ওদের একজন তৎক্ষণাৎ কাগজ পেন্সিল নিয়ে আমগাছের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। অপরজন প্ৰকৃত বুদ্ধিমান, সে এসব চিস্তা না করে পাকা আমগুলো তৎক্ষণাৎ পেড়ে খেতে সুরু করলো । সে জানে, আমের হিসাবে তার প্রয়োজন নেই, সে আমি খেতে এসেছে খাওয়ার তৃপ্তিই তার কাম্য। আমাদের সম্পর্কেও ঠিক একই কথা ! আমরা ক্ষুদ্র মানুষ, ঈশ্বরের গুণের বিচারে আমাদের কাজ কি ? আমরা আনন্দে তার নামসুধা পান করে যদি তৃপ্ত হই, তাই কি পরম লাভ নয় ? শ্ৰীরামকৃষ্ণ বলিতে থাকেন-বাগানে যে দুই বন্ধু এসে ঢুকলো তাদের মধ্যে যে পাক আমটি খেলো প্ৰকৃত লাভবান সে-ই--- এসম্পর্কে কারুর সন্দেহ থাকতে পারে না । সে জানে, অপরের বাগানে স্বল্পক্ষণের জন্য এসে হিসাব করতে বসা মুখত । ভক্তেরা একবাক্যে মাথা নাড়িয়া তাহার কথা সমর্থনা করিলে পরমহংস হাসিয়া বলিলেন - ওরে, মানুষের জীবনও তো এমনি অল্পস্থায়ী। এই সময়ের মধ্যে ঈশ্বরের গুণাগুণ বিচারে সময়ের অপচয় করবি কেন? অন্যস্ত শক্তির হিসাব কে করতে পারে? তার চাইতে র্তার নাম গান করে আনন্দলাভ করলেই বরং জীবনের চরিতার্থতা ! সমস্ত প্ৰাণ মন সমর্পণ করে তার নাম গান করে যা, তিনিই কৃপা করে তার অনন্ত মহিমার রাজ্য তোর সামনে উন্মোচন করবেন। আমাদের আর হিসেবে প্রয়োজন কি ? Y Gyr