পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস সম্মিলিত শ্রোতৃবৃন্দের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। এই নিরক্ষর গ্ৰাম্য সাধকের মুখে গভীর তত্ত্বজ্ঞানের এরূপ সরল ব্যাখ্যা শুনিয়া সেদিন সকলেই বিস্মিত হইয়া যান । একদিন আমি রামকৃষ্ণের কক্ষে বসিয়া আছি, এমন সময় কলিকাতা হইতে 'একদল ভক্ত আসিয়া উপস্থিত। এক ভদ্রলোক শ্ৰীরামকৃষ্ণকে প্রশ্ন করিলেন-অধ্যাত্মিসাধনায় সদগুরু প্ৰাপ্তির উপর জোর দেওয়া কি সত্যই অপরিহাৰ্য্য ? রামকৃষ্ণ দৃঢ়কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন-নিশ্চয়ই, জন্ম জন্মাস্তরের সঞ্চিত পুণ্য বলেই মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনে ঈশ্বরপ্রাপ্ত গুরুর সান্নিধ্য লাভ করে। এপথে গুরুর করুণা যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। গুরুই শিষ্যকে প্রধানতঃ এপথে অগ্রসর হতে সাহায্য করেন শিষ্যের চেষ্টার তেমন প্রয়োজন নেই। তবে ব্যক্তিগত চেষ্টায়ও কাজ হয়, কিন্তু গুরুই সেই দুর্গম পথকে উপযুক্ত উপদেশ দিয়ে সুগম করে দিতে পারেন। এই বলিয়া তিনি সম্মুখে প্রবাহিনী গঙ্গায় চলমান একখানি বাষ্পীয়পোতের দিকে সমাগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকষণ করিলেন। তারপর বলিলেন-আচ্ছ ষ্টীমারটি চুচুড়ায় কখন পৌছবে বলতে পার ? BBBD DBD BDJSYD gBtBSDDDD DBB S —হালটান নৌকোর সেখানে পৌঁছতে পনের কুড়ি ঘণ্টারও বেশী সময় লাগবে। কিন্তু নৌকোটিকে যদি ওই বাষ্পীয় (S