পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস নির্দেশমত আমি একখানি ভাড়াটিয়া ঘোড়ার গাড়ী ঠিক করিয়া তঁহাকে লইয়া সুকিয়া স্ট্রট অভিমুখে রওনা হইলাম। স্থির হইল, মেট্রোপলিটন ইনষ্টিটিউশন হইতে নরেন্দ্রনাথ ( পরবত্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ ) শ্ৰীবামপুকৃষ্ণকে সঙ্গে করিয়া চিড়িয়াখানায় লইয়া যাইবেন । সাধকপুৰুষ রামকৃষ্ণের ভাবগম্ভীৰ অধ্যাত্ম জীবনের সহিতই আমাদের পরিচয় ছিল, সে মানুষ যে এত রসিক এ সংবাদ পূর্বে আমার জানা ছিল না। সেদিন তাহার রসিকতা দেখিয়া আমি সত্যই বিস্ময়বোধ করিয়াছিলাম। তিনি গাড়ীতে উঠিয়াই আমাৰ বাম পার্শ্বে বসিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। আমি প্ৰথমে ভ্যাহার এই ইচ্ছার প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য বুঝি নাই । তিনি কিন্তু আমার পাশে বসিয়াই যে ভঙ্গি কবিলেন তাহা যেমন বিচিত্ৰ তেমনি কৌতুককর । সকলে যথারীতি আসন গ্ৰহণ করিলে গাড়ী ছাড়িল। গাড়ীটি দক্ষিণেশ্বৰ মন্দির ছাড়িতেই রামকৃষ্ণ হঠাৎ তাহার স্বন্ধের চাদরখানি লইয়া নব পরিণীতা বধূর মত নিজের মাথায় ঘোমটা টানিয়া আমার পাশে আসিয়া বসিলেন । আমি "ন্ডাহার এ আচরণের অর্থ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বধুর মত সল উৎ দৃষ্টি তুলিয়া সকৌতুকে বলিলেন-- আমি যে তোমাব প্ৰেমিকা । প্রেমিকের সাথে বেড়াতে চলেছি । মাথায় ঘোমটা দেব না। --এই বলিয়া একখানি হাত সপ্রেমে আমার বক্ষে স্থাপন করিয়া অপূর্ব ভঙ্গিতে বসিয়া রহিলেন। s