পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার আমাকে ডাক্তার সরকারের নিকট পাঠাইলেন। এই গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যে মহেন্দ্রলালের সহিত আমার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটিল। বিদ্যাসাগরের পত্ৰ পাঠ করিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ রোগিনীর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব গ্ৰহণ করিলেন। তাহার মত খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসকের ফি দিবার মত সামর্থ্য আমাদের ছিল না । কিন্তু মহেন্দ্ররা নূর, আক্ষরিক ব্যবহার আমাদের সঙ্কোচটি কাটাইয়া দিল । তিনি আমাদের পরমাত্মীয় হইয়া উঠিলেন। রোগিনীর অবস্থার বিবরণ লইয়া আমি প্ৰতিদিন সকালে বিকালে তাহার নিকট যাইতাম । রোগিনী যে বাচিাবে না, তাহা তিনি বহুপূৰ্ব্বেই বুঝিয়াছিলেন, কিন্তু পাছে এই দুঃসংবাদ আমাদের বিষ্টবল করিয়া ফেলে, তাই তখন এ আশঙ্কার কথাটি গোপন করেন। মৃত্যুর পূর্বদিন সকালের দিকে তাহার অবস্থা অত্যস্ত উদ্বেগজনক হয়। আমি ত্বরিৎপািদ। ডাক্তারের নিকট ছুটিয়া যাই, কিন্তু তাড়াতাড়িতে ঔষধের শিশিটি আনিতে আমার ভুল হয়। ঔষধ দিবার জন্য ডাঃ সরকার আমার নিকট শিশিটি চাহিতেই আমার ভ্রমটি বুঝিতে পারি। যাহা হউক, কিছু বিলম্বে দোকান হইতে, একটি শিশি আনা হয়। ইতিমধ্যে দু’একটি ছোটখাট কথা হইতে সেদিন এই প্ৰতিষ্ঠাবান চিকিৎসকের দৈববিশ্বাসী মনের সন্ধান পাইয়া আমি বড় বিস্মত হই । চিন্তিত মুখে ডাক্তার সরকার বললেন-দেখ, লক্ষণ ভাল ঠেকছে না, নইলে এ সময় কেন শিশিটি আনতে ভুল হবে ? তাছাড়া, আর একটা শিশি সংগ্ৰহ করতেই বা কেন এত সময় S ግ dr