পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহে শুদ্ৰ শাল সরকার সে সময়ে আরও কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙ্গালীর গৃহে পূর্বোক্ত ধরণের সামাজিক বৈঠক বাসিত । ইহাব মধ্যে তৎকালীন সাময়িক পত্রিকা, হিন্দু পেটিয়টের সম্পাদক বাৰ কৃষ্ণদাস পাল ও ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেন মহাশয়ের গৃহের বৈঠকের নাম উল্লেখযোগ্য। অবশ্য এ দু’টিতে ব্ৰাহ্মসমাজের সদস্যদেরই যাতায়াত ছিল বেশী । কিন্তু ডাঃ সরকারের গৃহের বৈঠকটি সত্যই এক সৰ্ব্বজনীন মিলন কেন্দ্র ও জ্ঞানাহরণের ক্ষে ত্ররূপে পরিচিত হইয়া উঠে । ডাক্তাব সরকার নিজেই ছিলেন জ্ঞান বিতরণের প্রকাণ্ড আধার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্ঞাতব্য তথ্য র্তাহার কণ্ঠস্থ থাকিত এবং তাহার কথা শুনিলেই বহু তথ্য আহরণ করা যাইত। এরূপ একনিষ্ঠ জ্ঞানীসাধক আমি আমার জীবনে বড় বেশী দেখি নাই ! ষ্ঠাহীর জীবনটি ছিল পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতীক। জ্ঞান সঞ্চয়নকে কেন্দ্ৰ করিয়া তাহার গৃহে একটি মূল্যবান গ্ৰন্থাগারও গড়িয়া উঠে। এই গ্ৰন্থাগারটি ছিল ডাঃ সরকারের প্ৰাণাপেক্ষা প্ৰিয়বস্তু। তিনি প্রায়ই সেখানে আমায় লইয়া যাইতেন এবং গ্রন্থগুলি দেখাইয়া বিভিন্ন বিষয়বস্তুর আলোচনা করিতেন । আমার নিকট তাহার এই গ্রন্থাগারটির আকর্ষণ ছিল অত্যধিক । আমি অনেক জ্ঞানান্বেষী ব্যক্তি দেখিয়াছি কিন্তু তাহার মত এমন জ্ঞানের পাগল দেখি নাই । পুস্তকের জন্য সকল শ্ৰম সহিতে তিনি সম্মত ছিলেন । এই গ্রন্থাগারটি তৎকালে একটি অমূল্যসম্পদ রূপেষ্ট পরিগণিত হয়, কলিকাতায় ডক্টর আশুতোষ by