পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ড: মহেন্দ্ৰলাল সরকার --অথচ সে সময় কলিকাতার প্রতিটি সামাজিক বৈঠকেই ধৰ্ম্মীয় বিরোধের বিষোদগীরণ চলিতেছে। তাহার প্রতি আমার অনুরাগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইবার ইহা ও একটি প্রধান কারণ । মহেন্দ্ৰলাল সরকার মহাশয়ের অনাডম্বর জীবনের ধারাটিও বিশেষ ভাবে আমার মনকে তখন আকৃষ্ট করিয়া তুলিয়াছিল। তাহার জীবনযাত্ৰা, কেবলমাত্র আড়ম্বর-শূন্যই ছিল না, তাহা দেশ-প্রেমেরও পরিচায়ক ছিল । সেদিনের বৈদেশিক সভ্যতার প্রভাবের যুগেও কেহ কোনদিন তা থাকে ধুতিচাদর ও তালতলার চটি ব্যতীত অন্য কোনরূপ বেশভূষা ব্যবহার করিতে দেখে নাই। প্ৰকাশ্য সভাসমিতি হইতে রোগীর কক্ষ পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র এই পরিচ্ছদেই তিনি যাতায়াত করিতেন। তাহার মতে বুট বা অন্য যে কোন প্রকার উঁচু গোড়ালি ওয়ালা জুতা পরিলে পদের সম্মুখাংশে শরীরের ভার বেশ পড়ে, দীর্ঘদিন এইভাবে ভার পড়িলে কালক্রমে স্বাস্থ্যহানি ঘটবার সম্ভাবনা দেখা যায়। এ মতবাদটি তিনি আমার বন্ধু বাবু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির পিতা, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ দুর্গাচরণ ব্যানাজির নিকট হইতে শুনেন এবং ইহা তাহার নিকট যুক্তিসঙ্গীত বলিয়৷ N. & ডাঃ সরকারের পোষাক পরিচ্ছদ দেখিয়া তাহাকে সহরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক বলিয়া চিনিবার উপায় ছিল না। বরং একজন সাধারণ ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত বলিয়াই ভ্ৰম হইত। আহারাদি সম্পর্কেও তিনি অত্যস্ত সংযম ও মিতাচারী ছিলেন। প্রচুর S&S