পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার বুদ্ধের পাঠকক্ষে বসিয়া তাহার সহিত আলাপ আলোচনায় যে কতদিন কাটিয়াছে তাহার ইয়াত্তা নাই। একদিনের আলোচনার কথা আজিও আমার মানসপটে জাগরূক রহিয়াছে। ডাক্তার সরকার ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্য বিশেষ কোন সাম্প্রদায়িক প্ৰতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আছে বলিয়া মানিতে রাজী নন, কিন্তু আমি আবার এরূপ প্ৰতিষ্ঠান সম্পর্কে বেশী আস্থাবান। কথাপ্রসঙ্গে একদিন এ বিষয়ে বিতর্ক আরম্ভ হইল । ডাঃ সরকার বলিলেন-দেখি শিবনাথ, আমার মনে হয়। দলীয় ধৰ্ম্ম-প্রতিষ্ঠান অথবা মঠ মন্দির এগুলি ধৰ্ম্মপথের তেমন সহায়ক নয়, বরং অন্তরায় । কারণ, ধৰ্ম্মবস্তুটি প্ৰকৃত পক্ষে বাহ্যিক কিছু নয়, ওটা সম্পূর্ণরূপে মানুষের মনোলোকের অন্তর্গত। বুঝিয়েসুঝিয়ে কাউকে ঈশ্বরে বিশ্বাসী করে তোলা যায় না। প্ৰকৃতপক্ষে জন্ম জন্মাস্তরের সুকৃতির ফলে মানুষ ধৰ্ম্মের সাত্ত্বিক সংস্কার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আর এও সত্য-সং, নীতিনিষ্ঠ এবং শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রেই এ বিশ্বের স্রষ্টার মহিমা সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল । সুতরাং প্ৰতিষ্ঠান গড়ে ঈশ্বরের মহিমা প্রচার অথবা তা’ দ্বারা বিশ্বাস জাগরিত করবার সত্যিই কোন প্ৰয়োজন হয় না। আমার তো ধারণা, প্ৰতিষ্ঠান গঠন করে ধৰ্ম্মপ্রচারের ফলে শুভ অপেক্ষা অশুভ প্ৰতিক্রিয়া বেশী দেখা যায় । দলীয় প্রচার মানুষের মধ্যে ভেদ-বিবাদ সৃষ্টি করে। ফলে, একই ধৰ্ম্ম হতে বহু দলের সৃষ্টি হয় ও পরিণামে সাম্প্রদায়িক দলাদলির বিষ ছড়ায়, আর এতে সমাজ-দেহে ক্ষতের সৃষ্টিও কম করে না। ধৰ্ম্ম মানব চরিত্রের Տ Փ Уух!...