পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে ইহার পরই আমি কাৰ্য্যান্তরে কিছুকালের জন্য কলিকাতা ত্যাগ করি। সুতরাং বৰ্ত্তমান প্ৰসঙ্গটি আর আলোচিত হয় নাই । ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে আমি গুরুতর ব্যাধিতে আক্রাস্ত হইয়া ডাঃ সরকারের শরণাপন্ন হই । আমার পীডার সংবাদ পাইয়া তিনি সত্বর আসিয়া উপস্থিত হন ও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন । তিনি তখন অ্যালো প্যাথি ছাড়িয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ধরিয়াছেন। কিন্তু আমার আত্মীয়-স্বজনের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে মোটেই কোন আস্থা নাই । তঁহারা সকলেই আমায় অ্যালো প্যাথিক চিকিৎসা করাইবার জন্য বলিতে থাকেন। — এমন কি আমার মাতাঠাকুরাণীও এ সম্পর্কে আত্মীয়দের মতই সমর্থন করেন । কিন্তু আমি সকল বিরোধিতা আগ্রাহিত্যু করিয়া ডাঃ সরকারের চিকিৎসাধীন থাকিতেই মনস্থ করিলাম । তিনিও পুত্ৰাধিক স্নেহে আমার চিকিৎসা করিতে লাগিলেন, কিছুকালের মধ্যেই আমি সুস্থ হইয়া উঠিলাম। পরবত্তী কয়েক বৎসরের মধ্যে কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে ডাঃ সরকারের স্নেহশীল ও একনিষ্ঠ মনের যে কত পরিচয় পাইয়াছি তাহার তুলনা নাই। ১৮৮১-৮২ সালে আমার একটি কন্যা টাইফয়েড রোগে আক্রাস্ত হয়। প্ৰথমে আমার একটি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার বন্ধু তাহার চিকিৎসা করিতেছিলেন । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাধি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং আমি ܝܼ ܠܹ