পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে পৌত্তলিকতা প্ৰভৃতি বিষয়ে তাহার আস্থা ছিল না। রাজা রামমোহন রায় সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন । ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারক হিসাবে রামমোহন রায় তঁাহাব অকুণ্ঠ শ্ৰদ্ধা অজন করেন। সংরক্ষণশীলতা তিনি কোন সময়ই পছন্দ করিতেন না, এই জন্যই সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম সম্পর্কে সকল সময়ই তাতার নিকট হইতে ব্যঙ্গোক্তি শোনা যাইত । একবার অ্যালবার্ট হলের কোন সভায় একজন হিন্দু ধৰ্ম্মভাবাপন্ন বিদেশিনী মহিলা মূৰ্ত্তিপূজার অনুকূলে একটি ভাষণ দেন। ইহাব উত্তরে ডাঃ সরকার উদাত্ত কণ্ঠে এক বক্তৃতা দিয়া ফেলেন-প্ৰথম কথাকয়টি আজিও আমি ভুলিতে পারি নাই। পরিহাসপূর্ণ কণ্ঠে তিনি বলিতে লাগিলেন—সাগবপার হইতে এক বিদেশিনী মহিলা আসিয়া পৌত্তলিকতা লইয়া সুপারিশ আরম্ভ করিলেন এবং তাহা দেখিবার জন্য ভগবান আমাকে দীর্ঘদিন জীবিত ও রাখিলেন—অদৃষ্ট আরও কত কি আছে কে জানে! ---শ্রোতৃমণ্ডলী ডাঃ সরকারের সরস বাচনভঙ্গীতে ঠান্ত কবিতে থাকেন । ডাঃ সরকারের রসবোধ অত্যন্ত তীক্ষ ছিল । একদিনের ঘটনা আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে । সে সময় আমার কন্যার খুব অসুখ। আমি তখন ব্রাহ্ম সমাজ মন্দিরের নিকটেই বাস করিতেছি। প্ৰথম দিন দেখা হওয়ার পব প্রথমেই তিনি মৃত্যু হাসিয়া বলিলেন—জান তো ! ইংরেজীতে একটা প্ৰবাদ আছে, R 8 9