পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে শিশুকাল হইতেই মাতামহ ও মাতুলের প্রশাস্ত চরিত্র ও অগাধ পাণ্ডিত্য আমাকে অজানিতেই তেঁহাদের প্রতি আকৃষ্ট করে । পণ্ডিত হরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন তখন কলিকাতার বিদ্বজন সমাজে একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত এবং নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণরূপে খ্যাত । মাতামহ ও মাতুলের নির্দেশক্ৰমে আমার মাতৃদেবী আমাকে পড়াশুনার জন্য কলিকাতায় প্রেরণ করেন । ১৮৫৬ সালে আমি কলিকাতায় আসি এবং তুর্ভাগ্যবশতঃ সে বৎসরই মাতামহের লোকাস্তর ঘটে । আমি মাতুল দ্বারকানাথের তত্ত্বাবধানে প্ৰতি পালিত হইতে থাকি । শিশুকালের বিচি ঐ স্মৃতিগুলি আজিও ঝাপসা হইয়া মনের “সুরে স্তরে রহিয়া গিয়াছে।--দেখিতাম দ্বারকানাথের সেই প্রশান্ত মূৰ্ত্তির সম্মুখে কোন ব্যক্তিই উন্নত মস্তকে দাড়াইতে পারিত না। এমন কি আমার মা ও মাসিমারাও তাঁহার পাঠকক্ষের সম্মুখ দিয়া যাইবার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকিতেন পাছে পদশব্দে তাহার অধ্যয়নেব ব্যাঘাত ঘটে । তঁহার নির্দেশমত আমি যথাসময়ে সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি হই । সে সময় আমাব পড়াশুনা কেমন চলিতেছে জানিবার জন্য তিনি সপ্তাহে দুই তিনদিন নিকটে আসিয়া বসিতেন। তিনি সামনে বসিলেই তো ভয়ে আমার কণ্ঠরোধ হইয়া যাইত। কখনো তাহার সম্মুখে মিথ্যা কোন কিছু বলা সম্ভব ছিল না । শিশুকাল হইতেই জানিতাম, মাতুল মিথ্যা কথাকে অত্যন্ত ঘূণা করেন, সু জন্যই 8 ܔܢ