পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ তিনি কোনদিনই দিদিমাকে তঁহার স্বেচ্ছামতে কাৰ্য্য হইতে বিরত করিতে চেষ্টা করেন নাই, বরং তাহার যখন যাহা প্ৰয়োজন হইত। তৎক্ষণাৎ সাগ্রহে তাহ সংগ্ৰহ করিয়া আনিতেন । গ্রামে থাকাকালেও দিদিমার এ দান-ধ্যান চলিত । তিনি প্রতিদিন বাড়া হইতে কিছু দূরে একটি পুষ্করিণীতে স্নান করিতে যাইতেন। এ সময়ে আঁচলে কিছু অর্থ লওয়াব অভ্যাস তাহার ছিল। কয়েকটি দুঃস্থ পরিবারকে গোপনে এ অর্থ দান না কৰিলে তাহার স্বস্তি হইত না । কলিকাতায় আসিলে তাহার পথে বাহিব হওয়া সম্ভব হহঁতে না। কিন্তু দরিদ্রেরা আমাদের বাড়ার দরজায় ভীড় করিয়া থাকিত । দিদিমার নির্দেশ ছিল, কোন ভিক্ষুক যেন শূন্য হস্তে ফিরিখ • যায়। মাতৃভক্ত পুত্র দ্বারকানাথ মায়ের এ নির্দেশ পালনে কোনদিনই ঔদাসীন্য প্ৰদৰ্শন কবেন নাই। সুতরাং দিদিমা কলিকাতায় আসিলে তাহার বেশ কিছু অর্থ ব্যয়িত হইত। কিন্তু ইত্যার জন্য তঁহাকে কেহ কোনদিন বিরক্ত হইতে দেখে নাই । মাতৃআজ্ঞাকে কখনই তিনি যুক্তি বা বৃদ্ধির তুলাদণ্ডে ওজন কবিয়া দেখিতে চাহিতেন না। সব দিক দিয়া মাতা ও সপ্তানের মধ্যে এমন সুন্দর সম্পর্কের দৃষ্টান্ত আমি খুব কমই দেখিয়াছি। ইষ্টবেঙ্গল ষ্টেট রেলওয়ের দক্ষিণ শাখা খোলা হইলে দ্বারকানাথ কলিকাতার বাসা উঠাইয়া দেন। সোমপ্রকাশ পত্রিকার অফিস ও ছাপাখানা সব তাহার দেশের বাড়ীতে লইয়া যাওয়া হয় এবং S 8 ܕ ܗ ܓܽ