পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে এখােন হইতে তিনি ট্রেণে চাপিয়া প্ৰতিদিন সংস্কৃত কলেজে যাতায়াত করিতে থাকেন । বাংলা দেশের গ্রামগুলি তখন ধ্বংসের পথে । দেশের শিক্ষিত ও অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদের মন বহিমুখীন, কাজেই গ্রামের সাংস্কৃতিক জীবনে তখন যথেষ্ট ভাটা পড়িয়ছে । তাই গ্রামে বসবাস করিবার অল্পকাল মধ্যেই তিনি বশিলেন, স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল ও বিশৃঙ্খল। তিনি লক্ষ্য করিয়া দেখিলেন যে, দেশে একটিও ভাল উচ্চ ইংৰেজী বিদ্যালয় নাই। অথচ কৰ্ম্ম জীবনে তখন ইংরেজির পি শোধ প্রয়োজন। এসব কথা চিস্তা করিয়া তিনি গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবাবের বালকদের জন্য একটি উন্নত ধরণের ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপনের সঙ্কল্প গ্ৰহণ কবেন। প্ৰথমে সম্পূণরূপে তাঁহারই নিজ </সে। কয়েক জন ভাল শিক্ষক উপযুক্ত বেতনে এই নূতন বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হয়। এইভাবে বিদ্যালয় স্থাপিত হইল এবং কিছু সরকারী সাহায্য পাইতে ও দের হইল না । কিন্তু ছা এদের বেতন ও সবকার হঠতে প্ৰাপ্ত অর্থে বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয় সস্কুলান হয়। কই ? অগত্যা দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ নিজের উপাৰ্জন হইতেই প্ৰতিমাসে ঐ স্কুলে যাট সত্তর টাকা করিয়া সাহায্য প্ৰদান করিতেন। অবশ্য সংস্কৃত কলেজ ও র্তাহার বহুল প্ৰচারিত পত্রিকা সোমপ্রকাশ হইতে তখন তাহার উপাৰ্জন কম হইত না । মাতৃদেবীর দয়া ও স্নেহ এই গুণ দুইটি উত্তরাধিকার সূত্রে তাহার চরিত্রে সঞ্চারিত হইয়াছিল। পরের দুঃখের কথা শুনিলে ૨ છે જે ठू