পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করিতে কখনো তাহার দ্বিধা দেখা যাইত না । সংস্কৃত কলেজ হইতে মাসের দুই-তিন তারিখে তিনি তাহার বেতন পাইতেন, কিন্তু এ টাকা প্ৰথমে নিজ প্রয়োজনে ব্যয় করিতেন না । বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সময়মত বেতন না পাইলে বিপদগ্ৰস্ত হইবে ইহা তাহার জানা ছিল, তাই সৰ্ব্বাগ্রে তাত দেব কথা ভাবিয়া এই অর্থ হইতেই তাতাদের বেতন মিটাইতেন। এজন্য নিজে মাঝে মাঝে অসুবিধায় পড়িতেন না এমন নয়, কিন্তু কোনদিনই ইহা বড় করিয়া দেখেন নাই । দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ যে কেবল নিজ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় সম্পর্কেই সচেতন ছিলেন তাহা নহে, কৰ্ম্ম জীবনেব সৰ্ব্ববক্ষেত্রেই তাহার অসুরিকতা, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ যে কোন ব্যক্তিরই শ্রদ্ধা আকষণ কবিতা । তিনি নিজে একটি বিশিষ্ট পৰি একাবি সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু সংস্কৃত কলেজে কেহ কোনদিনও তাঁহাকে ঐ পত্রিকা সংক্রান্ত কোন কাজ বা আলাপ আলোচনা করিতে দেখেন নাই । কলেজে অসিয়া অন্য কাজে মন দিলে পাছে কৰ্ত্তব্যে ত্রুটি ঘটে এই আশঙ্কার অবসর থাকিলেও তিনি পত্রিকার কাজে কখনো লিপ্ত হইতেন না । তাহার অধ্যবসায়ও ছিল অসাধাৰণ । নিজ চেষ্টায় তিনি ইংরেজি ভাষা শিখিয়াছিলেন এবং ইতিহাসের একজন অনুরাগী পাঠক ছিলেন । কলেজের অবসর সময়টি তিনি লাইব্রের-কক্ষে বসিয়া নানাবিধ জ্ঞানের অনুশীলনে কাটাইয়া দিতেন। তিনিই & So