পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে এ আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সার্থক করিয়া তুলিবার জন্য তিনি তাহার নিজ পুত্ৰ-কন্যাদের বাল্যকালে বিবাহ দেন নাই । পত্রিকার পাতায় যাহা লিখিয়া চলিলেন, বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে তাহাকে রূপ দিতে তিনি পশ্চাদপদ হন নাই। আদর্শ রক্ষার জন্য তাতাকে এ সময়ে বহু ক্লেশ সািহত্যু করিতে হয় । বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের আদর্শনিষ্ঠ ও কীৰ্ত্তব্যকঠোর মনটিৰ অস্যরালে যে একটি সংস্কারমুক্ত দরদী মন সদা জাগ্ৰত থাকিত সে কথা হয়ত অনেকেই জানিতেন না । কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়া আমি তাহার সে পরিচয়টি লাভ করি। সেই কথাই আজ এখানে বিবৃত করিব । আমার বয়স তখন সতের কি আঠার হইবে, সংস্কৃত কলেজের প্ৰথম বার্ষিক শ্রেণীতে ভিত্তি হইয়াছি। বয়সেব ধম্মান্ত যায়ী কিছু কিছু কবিতাও লিখিতেছি । পড়াশুনাব সুবিধাবী জন্য আমি সে সময় ভবানাপুরের একটি মধ্যবি ও পরিবারেব সহিত বাস করি । ঘটনাচক্ৰে সেই পরিবারের কৰ্ত্তা একটি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে চৌদ্দ বৎসর দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত হন। ভদ্রলোকটির দুৰ্দশা আমার কিশোর মনকে ব্যথাতুর করিয়া তুলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্ৰ করিয়া আমি তখন একটি কবিতাও লিখিয়া ফেলি। আমার । এ কবিতাটি পড়িয়া সহপাঠীরা অত্যন্ত মুগ্ধ হয় ও সোমপ্রকাশে প্ৰকাশিত করিবার জন্য মাতুলকে অনুরোধ করিতেও তাহারা পরামর্শ দেয়। কিন্তু তাহাকে ইহা বলিবার কথা চিম্বু করিয়াই २x 8