পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে আমার বন্ধুর দুর্দিনে তঁহার এই আন্তরিক ব্যাকুলতা ও সজাগ কৰ্ত্তব্যবোধ আমার সমস্ত মনকে এক অপূৰ্ব্ব আনন্দে ভরিয়া তুলিল। রাত্রির অন্ধকার ও পথের অসুবিধার কথা চিস্তা না। করিয়া তৎক্ষণাৎ রওনা হইয়া পড়িলাম । দ্বারকানাথ নিজে হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি তঁহার একটি সহজ সহানুভূতি ছিল। এই নবধৰ্ম্মের আদর্শ ও মতামতের উদারতা তাহাকে আকৃষ্ট না করিয়া পারে নাই । কিন্তু ১৮৬৮ সালে ব্ৰাহ্মসমাজে এক ভাঙন সুরু হয় এবং ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেনের নেতৃত্বে নূতন একটি সমাজ প্ৰবৰ্ত্তিত হয় । তখন হইতেই মাতুল এ আন্দোলন সম্পর্কে অনেকাংশে উদাসীন হইয়া পড়েন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করিলে তিনি বলিতেন-রাজনীতি বা হাটের মত ধৰ্ম্মে ভাগবাটোয়ারা চলিতে থাকিলে তা’ আর ধৰ্ম্ম থাকে না । বিশেষ করিয়া কেশব সেনের নূতন সম্প্রদায়টি সম্পর্কে তাহার তেমন শ্রদ্ধা বা আস্থা ছিল না। তিনি কেশব সেনের প্রবৰ্ত্তিত দলের সভ্যদের ঠাট্টা কবিয়া বলিতেন-কৈশব (’ কিন্তু সেই কৈশব দলেই গিয়া আমি যেদিন যোগ দিলাম। সেদিনকার সে ঘটনাটি মাতুলের জীবনে যেন এক অদৃষ্টের পরিহাসের মতই মনে ठ्छ्रेशूछिब्ल । দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের ভগিনী-পুত্ৰ কেশব সেনের দলভুক্ত হইয়াছে—এ সংবাদ সে সময় হিন্দু ও ব্ৰাহ্ম উভয় সমাজেই ૨૨8