পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে আশা বস্তুটির এমনই একটি সৃজনী ক্ষমতা আছে, যাহা চরম অসম্ভবের মধ্যেও নূতন সম্ভাবনার সূত্র খুজিতে চায়। মাতুল দ্বারকানাথের ক্ষেত্রে ও ইহার ব্যতিক্রম ঘটে নাই । তিনি ভাবিতেন, হয়তো একদিন আমার মতবাদ পরিবৰ্ত্তিত হইবে এবং আমি আবার ফিরিয়া আসিব । সেদিনকাব ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণকে কেন্দ্ৰ করিয়া মাতুলের সহিত আমার দৃশ্যতঃ কোন বিচ্ছেদ ঘটে নাই সত্য, কিন্তু আদর্শ ও মতবাদের ব্যবধান পরস্পরকে ক্ৰমে কিছুটা দূরে সরাইয়া দেয়। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে আমি ডিষ্টিংশান লইয়া বি, এ, পাশ করিলে আমাকে কেন্দ্ৰ করিয়া মাতুলের মনের একটি প্রচ্ছন্ন বাসনা চরিতার্থতার পথ খুজিতে থাকে। ঘটনাটি অবশ্য আমি অনেক পরে জানিয়াছি। আমবা যখন কলেজে পড়িতেছি সেই সময় তৎকালীন লেফটেনাণ্ট গভর্ণরের সহিত সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপ্যালের বিশেষ হৃদ্যত জন্মে । তিনি প্ৰিসিপ্যালকে জানান, সরকারী আদালতে ইংরেজ বিচারকদের বিচারের সুবিধার জন্য একজন হিন্দু আইনজ্ঞ বাঙ্গালীর প্রয়োজন । যদি তাহদের কলেজের কোন ছাত্রের এরূপ ডিগ্রী থাকে তিনি তাহাকে উক্ত পদে নিযুক্ত করিতে পারেন। প্ৰস্তাবটি যথানিয়মে দ্বারকানাথের গোচরীভূত হয় এবং প্ৰিন্সিপ্যালের অনুরোধে তিনি আমাকে আইন পড়িতে বলেন । আমি ও নিয়মিত ভাবে আইনের ক্লাশ করিতে থাকি এবং ইত্যবসরে এম, এ, পরীক্ষা পাশ করি । মাতুলের মনে হইয়াছিল, ধৰ্ম্মবিষয়ে মতা স্তর ঘটিলেও ܟܠ R ܓܶ