পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহানপুকরুষদে বা সান্নিধ্যে ইচ্ছা পূরণের কোন পথই দেখিতে পাইলাম না। তাহার পিতা আমার অনুবোধ রক্ষা করি বেনই বা কেন ? এসব ভাবিয়া বাড চিন্তিত হইয়। পড়িলাম। হঠাৎ মনে হইল, বন্ধীর পিতা তো এক সময় ঈশ্ববচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের বিশেষ ভক্ত ছিলেন । তাই একমাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ই এই সমস্যার সমাধান করিতে পারেন । তাহার গৃহে অবিলম্বে উপস্থিত হইলান । 'কিছু eবলিবার পূর্বেই আমার মুখের দিকে তাকাইয়া স্নেহপূর্ণ কণ্ঠে তিনি বলিলেন,-কি ব্যাপার ? বলা দেখি ! তোমার কি হয়েছে ? তিনি যে আমার বন্ধুর পিতার নিকট পূর্বোেবই এ সম্পর্কে শুনিয়াছিলেন তাহা জানিতাম না, সুতরাং সকল বিষয় জানাইলাম । ব্যথিত হওয়ার পরিবর্ল্ডে তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন,- সেই দুশচরিত্র অবাধ্য ছেলেকে সাহায্য করবার কথা কে তোমায় বলেছে ? তাকে তুমি বাড়িতেই বা কার হুকুমে স্থান দিয়েছ ? এরূপ অবাধ্য যুবককে সাহায্য করার চেয়ে মেরে তাড়ানোই আমি উচিত মনে করি । বড় আশা লইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট আসিয়াছিলাম। কিন্তু তাহার বাক্য শুনিয়া অকুল পাথরে পড়িলাম । হতাশ হইয়া নীরবে নতমুখে বসিয়া রহিলাম। কয়েক মিনিট পর প্রণাম করিয়া প্ৰস্থানো দ্যত হইয়া শুধু বলিলাম,-বড় আশা করে আপনার কাছে এসেছিলাম যে, মুমূর্ধর শেষ ইচ্ছা! হয়ত আপনার দয়ায় পূর্ণ করতে পারব। কিন্তু দুরদৃষ্ট, তা আর ঘটে উঠল না। SM)