পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর বলিয়া ও খ্যাত ছিলেন । অনায়াসে যে কোন ব্যক্তিরই হৃদয় জয় করিতে তাহার দেরী হইত না । একবার আমার এক মাদ্রাজী বন্ধু সস্ত্রীক কলিকাতায় বেড়াইতে আসেন। বিধবা বিবাহ আন্দোলন তখন একটি বহুবিতকিত বিয়ায় হইয়া দাড়াইয়াছে এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কেন্দ্ৰ করিয়া ইহার স্বপক্ষে ও বিপক্ষে দেশ মধ্যে দুইটি দল সৃষ্টি না হইয়া পারে নাই । আমার বন্ধু ও তাঁহার পত্নীটি এই নিভীক সমাজ সংস্কারককে দর্শন করিবার ইচ্ছা আমার নিকট প্ৰকাশ করেন । আমি তাহাদের সঙ্গে লইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে পৌছিলে তিনি আমার বন্ধু ও তা হার পত্নীকে সাদরে গ্ৰহণ করিলেন। পরে একদিন নিমন্ত্ৰণ করিয়া বন্ধু-পত্নীকে একটি সুন্দর শাড়ীও উপহার দিয়াছিলেন । কয়েক দিন পরের কথা । গৃহের বাহিরে ঘোড়ার গাড়ী থামিবার শব্দ পাইয়া দরজা খুলিয়া বিস্মিত হইয়া গেলাম। পণ্ডিত মহাশয় আমাদের বাড়ীর সম্মুখে গাড়ীটি রাখিয়া ত্ৰস্ত পদে গৃহে প্ৰবেশ করিয়া বলিলেন,-কই হে, তোমার বন্ধুরা কই ? আজই এক বিধবা বিবাহ হচ্ছে, এ অনুষ্ঠান দেখাবার জন্য আমি তাদের নিতে এসেছি । অনুষ্ঠানটি হইতে ফিরিয়া আসিয়া বন্ধুবর ও তাহার পত্নী বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যে উচ্ছসিত প্ৰশংসা করেন তাহাতে আমি আনন্দে অভিভূত হইয়া পড়ি। পণ্ডিত মহাশয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্বন্ধ দৃঢ় সূত্রে