পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগব পণ্ডিত মহাশয় দানশীল, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ, সদাচারী, সত্যনিষ্ঠ —একথাই সকলে জানেন । কিন্তু এই বৃদ্ধটি যে আবার কিরূপ সংস্কারমুক্ত ও স্নেহশীল ছিলেন তাহার সংবাদটি হয়তো অনেকেই বাখেন না । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এক বন্ধু সেসময় তাহার ভগ্নীকে চিকিৎসাৰ্থ কলিকাতায় লইয়া আসেন। এ তৰুণীটির মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ দেখা দিয়াছিল। ইহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয় শিশুকাল হইতেই অন্তরিক ভাবে স্নেহ করিতেন। কলিকাতায় আসার পর যুবতীটির ব্যাধির এক উপসর্গ পরিবারের সকলকেই বিব্রত করিয়া তেওঁ লে । পণ্ডিত মহাশয় ভিন্ন অন্য সকলের সম্মুখে মেয়েটি আহার করা বন্ধ করিয়া দেয়। বৃদ্ধ প্ৰতিদিন দুইবার করিয়া সেখানে না গেলে এবং তাহাকে না খাওয়াইলে সে জলস্পর্শও করিবে: না-ইহাই তাহার সঙ্কল্প। কিন্তু আশ্চৰ্য্য স্নেহ ও মমত্ববোধ এই বুদ্ধ ব্ৰাহ্মণের । কোনরূপ বিরক্তি প্ৰকাশ না করিয়া তিনি নিয়মিতভাবে দুইবার করিয়া তোহাদের বাড়ী আসিতেন, শুধু এই অদ্ভুত রোগিনীটিকে খাওয়াইবার জন্য । তাহার বন্ধুটি তপশীল শ্রেণীভুক্ত ছিলেন, কিন্তু কোন বর্ণবৈষম্যবোধ এই সদাচারী ব্ৰাহ্মণের মনে ক্ষীণতম দ্বিধার সৃষ্টি করে নাই, বরং এ কাৰ্য্যকে তিনি একটি বিশেষ কৰ্ত্তব্য বলিয়াই গণ্য করিতেন । দেখা যাইত, স্নেহশীল পিতার মতই তিনি প্ৰতিদিন আহাৰ্য্যের পাত্ৰ লইয়া রোগিনীর পার্শ্বে বসিয়া আছেন এবং নানা হাস্য RVD