পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে অনুসরণ করিয়াই দেবেন্দ্ৰনাথের জীবনে দেখা দিল এক বিরাট রূপান্তর । সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনাইয়া আসিয়াছে বালক দেবেন্দ্ৰনাথ একদিন নির্জন ছাদে আকাশের দূর দিগন্তে দৃষ্টিনিবদ্ধ করিয়া বসিয়াছেন। বিরাট নভোমণ্ডলে খচিত অসংখ্যা নক্ষত্রপুঞ্জ র্তাহার চিত্তে এক অপরূপ বিস্ময়ের সৃষ্টি করিল। আঁকস্মাৎ বালকচিত্তে প্রশ্ন জাগিয়া উঠে, এই এতবড় বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের যিনি সৃষ্টিকৰ্ত্ত তিনি কি কখনও সীমাবদ্ধ হইতে পারেন ? সেই সঙ্গেই চিত্ততল হইতে তখনই কে যেন বলিয়া উঠে-‘সুষ্ট জগৎকে অতিক্রম করেই তো স্রষ্টা বিরাজিত সীমার মাঝে তাকে ধরা Cडा यश व् ।" এই বোধটি জাগ্রত হইবার পর হইতেই পৌত্তলিক ধৰ্ম্ম সম্পর্কে মহৰ্ষির বিশ্বাস কমিয়া যাইতে লাগিল । উল্লিখিত ঘটনার অল্পকাল পরে অপর একটি ঘটনা তাহার চিত্তে এই নবোপলব্ধ অনুভূতিকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ইতিমধ্যে দেবেন্দ্রনাথের শ্ৰদ্ধেয়া পিতামহীর মৃত্যু ঘটিল। আত্মীয় স্বজনের সহিত বালক শ্মশানে গমন করিলেন । তাহার জীবনে ইহা এক সম্পূৰ্ণ নূতন অভিজ্ঞতা। বিত্তশালী ও প্ৰসিদ্ধ নাগরিক দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ দেবেন্দ্রনাথ সম্পদের প্রাচুৰ্য্য, তোষামোদ, আরাম এবং আমে আহলাদ প্ৰভৃতি বস্তুর সহিতই তিনি সদা পরিচিত। ওকিন্তু \98 |vf