পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে স্তোত্রের এই নিহিতার্থটি যেন দেবেন্দ্ৰনাথের নিকট এক দৈববাণী বিশেষ। দিবারাত্ৰ ভঁাহার কর্ণে ধ্বনিত হইয়া ইহা তঁহাকে আকুল করিয়া তোলে, ইহাই তাঁহার অধ্যাত্মি-সাধনার প্ৰকৃত সূচনা করিয়া দেয় । মহর্ষি আমায় বলিয়াছিলেন, ঈশোপনিষদের এই মন্ত্রকে হৃদয়ে স্থাপন করিয়াই তিনি অধ্যাত্মি-জীবনে প্ৰবেশ করেন । সমগ্র জীবনের সাধনায় এই সত্যটি উপলব্ধি করিবােরই তিনি চেষ্টা করিয়াছেন। বিশ্বের প্রতিটি অণুপরমাণুতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব উপলব্ধি এবং সমুদয় জাগতিক বস্তুতে নিন সক্তির ভাব পোষণ, এই দুইটি সত্যকে আদর্শ করিয়াই তিনি সমস্ত জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন এবং ইহাই তাহার অধ্যাত্ম-উপলব্ধির সহায়তা করিয়াছে । নূতন জীবনের পথে তাহাকে অগ্রসর হইতে হইবে-এ উদ্দেশ্যে তিনি তত্ত্ববোধিনী সভা স্থাপিত করেন এব” পণ্ডিত রামচন্দ্র তর্কবাগীশের উদ্যোগে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । এই ধৰ্ম্মনিষ্ঠ পণ্ডিত ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ব্ৰাহ্ম সমাজের আচাৰ্যাপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । “পরিধান আত্মসাৎ করিবার কোন বাসনা মনে স্থান দিও না।”-এই মন্ত্রটি মহৰ্ষির সাধন জীবনে যে কিরূপ প্ৰাণবন্ত হইয়া উঠে একটি দৃষ্টান্ত হইতেই তাহা বুঝিতে পারা যাইবে । ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে প্ৰায় এক কোটি টাকা ঋণ রাখিয়া পিতা VՊg: