পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঙ্গধি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর দ্বারকানাথ পরলোক গত হন । দেবেন্দ্ৰনাথ তখন ইংলেণ্ডে । তিনি পিতৃদেবের ঋণের কথা জানিলেন এবং তৎসঙ্গে ইহাও জানিলেন যে, মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে পিতা তাহার পরিবার প্ৰতিপালনের কথা চিন্তা করিয়া। সম্পত্তির বৃহত্তর অংশটি ট্রাষ্টসম্পত্তি হিসাবে উইল করিয়া গিয়াছেন। সমস্ত শুনিয়া তাহার মনে প্রশ্ন জাগিল-পিতৃঋণ পরিাশোধের উপায় কি ? এ ঋণ পরিশোধ না হইলে তো পিতার আত্মা শান্তি পাইবে না ? সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্ন ও জাগিল যে, পরিবার প্ৰেতিপালনের জন্য পতা যে সম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছেন বস্তুতঃ তাহা তো অপরেরই সম্পত্তি ! পিতার পাওনাদারদের দাবী মিটাইয়া দিবার পর তাপে তো ইহার উপর তাহার দাবী জন্মিবে ? ন্যায়তঃ কি করা কীৰ্ত্তব্য এই চিন্তা এবার তাহাকে অস্থিয় করিয়া তুলিল। ঈশোপনিষদের সেই মন্ত্রটি সমগ্ৰ চিত্তকে অনুরাণিত করিয়া বারবার ধ্বনিত হইতে লাগিলা-পরাধন লিপসকে অস্তরে স্থান দি ও না । একদিকে জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য, সমাজের প্রতিষ্ঠা, মান সম্মান, আর অপরদিকে পিতৃঋণ শোধের দায়িত্ব এবং সর্বোপরি নিজ সত্যরক্ষার ব্যাকুলতা। এই দুই পরস্পর বিরোধী অবস্থার মধ্যে দেবেন্দ্রনাথের দিন কাটিতে থাকে । তিনি কিন্তু ভাল ভাবেই জানিতেন যে, পিতৃসম্পত্তি পাওনাদারদের হস্তে প্ৰত্যপণের পর সমস্ত পরিবারকেই চরম দারিদ্র্য ও VO)