পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব দেখিতাম -এক অপার্থিব, অনাবিল আনন্দে তাহার মুখমণ্ডল উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে। আমি নিঃসংশয়ে বুঝিয়াছিলাম যে, ঈশোপনিষদের মন্ত্র তাহার, জীবনুে চৈতন্য যুক্ত হইয়া উঠিয়াছিল- অন্যথায় মানুষ এতখানি স্থিরপ্ৰতিজ্ঞ হইতে পারে না । স্তোত্রের অপর সূত্রের যথাযথ উপলব্ধি সম্পর্কে ও তাঁহার নিকট হইতে নানা ঘটনা শুনিয়াছি । এ সম্পর্কে দেবেন্দ্ৰনাথ তাহার আত্মজীবনীতে লিখিয়াছেন যে, বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রতিটি অণু-পরমাণুতে পরম কারুণিক ভগবৎ পিতার আবির্ভাব উপলব্ধি করা অধ্যাত্মসাধনার চরম কথা এবং ইত উপলব্ধি করিতে হইলে প্ৰয়োজন একাগ্ৰ ধ্যান-ধারণার । মহর্ষি বস্তুজগৎ সম্পর্কে নিলিপ্ত থাকিয়া সমগ্র জীবনেই ইহার অন্তনিহিত সত্তাটি উপলব্ধি করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । তঁহার জীবনে আড়ম্বরের কোন স্থানই ছিল না, একান্ত নীরবেও নির্জনে বাস করিতেই তিনি ভালবাসিতেন । অধিকাংশ সময়ই গহন অরণ্যে, পার্বত্য অঞ্চলে, অথবা নদী বক্ষে বজরায় করিয়া এককালে তিনি দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করিতেন । এমন কি কলিকাতা নগরীর সর্ববাপেক্ষা জনাকীর্ণ অঞ্চলে বাস করার কালে ও তিনি প্ৰহরের পর প্রহর নিজ কক্ষে অধ্যয়নে অথবা ধ্যানে অতিবাহিত করিতেন। পাছে কেহ ভঁাহার নীরব সাধনায় বিঘ্ন ঘটায় এজন্য তিনি তঁহার অধ্যয়নকক্ষের সম্মুখে 8 ○