পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে নির্জন বাসের জন্য যান । বেশী সংখ্যক ভূত্য বা সহচর লাইলে সাধনায় বিস্তু হইবে এই আশঙ্কায় তিনি মাত্র দুই তিনজন ভূত্য সহ তথায় গমন করেন । তাহদের প্রতি নির্দেশ থাকে যে, প্ৰয়োজন বোধে আহবান না করিলে তাহার। যেন অকারণে র্তাহাকে বিরক্ত না করে । এই সমূয় তাহার প্রতিদিনের কৰ্ম্ম ছিল মুরী পর্বতের অসমতল পথ বাহিয় একাকী বহুদূর ভ্ৰমণ । তিনি প্ৰকৃতির অবর্ণনীয় সৌন্দৰ্য্যসম্ভারের মধ্যে পরম পিতার আবির্ভাব উপলব্ধি করিতেন । অধিকাংশ সময়েই শাস্ত্ৰাধ্যয়ন ও ধানেই ব্যয়িত হইত এবং এই একান্ত নিভৃতিময় জীবনে মহর্ষি পরমতত্ত্ব আম্বেষণে ব্যাপৃত থাকিতেন । এই সময় একদিন তিনি অসুস্থ হইয়া পড়েন এবং দুই তিন দিনের মধ্যেই তাহার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হইয়া উঠে। এই জনমানবহীন স্থানে উপযুক্ত চিকিৎসা বা সাহায্যের কোন সুবিধ । না থাকায় ভূত্যেরা অতিশয় ভীত হইয়া পড়ে এবং পর্বত পাদদেশে অবস্থিত সহর হইতে চিকিৎসক আনিতে ব্যস্ত হয়। মহর্ষি তা হাতে বাধা দিয়া বলিলেন-আকারণে কাহাকেও বিরক্ত করা উচিত নয় । উপায়ান্তর না দেখিয়া ভূত্যগণ অসহায়ভাবে চরম ; বিপৰ্য্যয়ের প্রতীক্ষা করিতে থাকে । কয়েকদিন এই ভাবেই কাটে এবং এই সময়ের মধ্যে মহৰ্ষির অবস্থা আর ও সঙ্কটজনক হইয়া উঠে। তিনি নিজেও প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে নির্লিপ্তভাবে মৃত্যুর প্ৰতীক্ষা করিতে থাকেন। তাহার এই সময়কার ཨ་སྔ་རྩྭ་རྩ༢ 8)