সপ্তর্ষি দেবেগুনাথ ঠাকুৰ যে বৰ্ণন। তিনি আমার নিকট দেন তাহা বড়ই বিচিত্র । তিনি বলেন যে, তিনি নিজে ও তখন জীবনের আশা ত্যাগ করিয়াছেন, কিন্তু ইহার জন্য কোন ব্যথা বোধ যেন নাই । এ সময়ে একদিনকার তীব্র শ্বাস কষ্ট এক অনাবিল অধ্যাত্মরস-সম্ভোগে রূপান্তরিত হইয়া যায় এব? তাহাকে কি ব্য। আনন্দাবেশে অভিভূত করিয়া ফেলে। এই সময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটিতে থাকে। মহর্ষি তাহার শ্বাসপ্ৰশ্বাস ক্রিয়ার উপর সমস্ত মনটি নিবিষ্ট করিয়া নিঃশ্বাস ত্যাগ করিবার সময় উচ্চারণ করিতে থাকেন “তুমি” এবং প্রতিটি শ্বাস গ্রহণের সময় কে যেন বলিতে থাকে “আমি” । “তুমি’ ও “আমি” এই দুইটি শব্দ শ্বাস প্ৰশ্বাসের সাথে সাথে ধ্বনিত হইয়া তাহার অন্তরে একটি ছন্দোবদ্ধ মৃচ্ছনার সৃষ্টি করে । কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি সমস্ত রোগ যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইয়া দিব্য আবেশের মধ্যে কাহার যেন কণ্ঠনিঃসৃত বাণী শুনিলেন তোমায় এখন ও বাচিতে হইবে, তোমার অনেক কৰ্ম্ম বাকী ।” এই ঘটনার পর তাহার ব্যাধি নিতান্ত অলৌকিক ভাবে সারিয়া যায়। ভৃত্যগণের সাহায্যে শয্যায় উঠিয়া বসিয়া তিনি উপনিষদ হইতে কয়েকটি স্তোত্ৰ বারবার পাঠ করিতে থাকেন । বিশ্বপিতার অপার করুণার সম্পর্শে তাহার সমগ্ৰ চিত্ত टे दल श्नों टीले । মহর্ষি বলিয়াছেন, অদৃশ্য শক্তি সম্পর্কে এই শ্রেণীর প্রত্যক্ষ 8