পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ভ্ৰাম্যমান মূৰ্ত্তিটি দেখা যাইতেছে। কখন ঘুমাইয়া পড়িয়াছি জানিনা । রাত্রি তিনটার সময় নিদ্রাভঙ্গ হওয়ায় জানালা দিয়া বাহিরে তাকাইয়া বিস্মিত হইয়া গেলাম। আনন্দমোহন বসুকেও ডাকিয়া তুলিলাম। বিস্ময়েব সাহিত উভয়ে লক্ষ্য করিলাম, মুহৰ্ষি তখনও ঠিক একই ভাবে ধীরে ধীবে পায়চারি করিয়া চলিয়াছেন । সংসারে সত্যের স্বৰূপ সম্পর্কে আমরা নানা কথা। শুনিয়া থাকি, কিন্তু সে সত্য সম্পর্কে প্ৰকৃত ধারণা অতি অল্প ব্যক্তির জীবনেই লাভ হয়। তাছাড়া, এই ধারণা করিতে হইলে প্ৰয়োজন দীর্ঘ সাধনার । জ্ঞাত ও শ্রুত সত্যকে ধুতিতে আনিবার জন্য মহৰ্ষি সমস্ত জীবনব্যাপী সাধনা করিয়া গিয়াছেনএকাগ্ৰ ধ্যান ও ধারণার ফলে উপনিষদের তত্ত্ব তাহার জীবনে চৈতন্যময় হইয়া উঠিতে পারিয়াছিল । একবার তিনি হিমালয় পৰ্ব্বতে নির্জনে অবস্থান কবিতেছেন। আমি তখন সেখানে গমন করি । কথাপ্রসঙ্গে তিনি উপনিষদের একটি অতি পরিচিত স্তোত্ৰ-ব্ৰহ্ম যেখানে সত্যম রূপে বৰ্ণিত, সেটি আমার সম্মুখে আবৃত্তি করিতে লাগিলেন। স্তোত্রটি আমি নিজেও বহুবার উচ্চারণ করিয়াছি, অন্যের নিকট হইতেও বহুবার শুনিয়াছি, কিন্তু মহর্ষির মুখনিঃসৃত স্তোত্ৰ হইতে সেদিন যেন ইহার মৰ্ম্ম নূতন করিয়া উপলব্ধি করিলাম ! বিস্ময়েয় সহিত দেখিলাম, সূত্রটি উচ্চারণ করিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহার C)