পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ব্যাখ্যা করিতে থাকি । এই সময়ে আমার চিত্তটি অব স্মাৎ একটি রসঘন অনুভূতিতে স্থিতিলাভ করে । আমার এই বিশেষ উপলব্ধির ক্ষণটি মহৰ্ষির দৃষ্টি এড়ায় নাই । তিনি তঁহার আসন হইতে ভাবাবেগে উঠিয়া আসিয়া আমাকে জড়াইয়া ধরেন । আর আনন্দুে আত্মহারা হইয়। বলিতে থাকেন,-সত্যকে নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি না করলে কেউ এমন সুন্দর ভাবে তা প্ৰকাশ করতে পারে না । এমন করে যে তা প্ৰকাশ করতে পারে। আমি তার অনুগত হয়ে জীবন উৎসর্গ করবো । মহর্ষির এই মন্তব্যে নিজের উন্নতি সম্পর্কে সচেতন হইতে পারি নাই বরং তঁহার সত্য প্রীতি ও ভাবানুভূতির পরিচয় পাইয়া সেদিন অভিভূত হইয়া পড়িলাম। মনে মনে বলিলাম, অভিমান ও অহঙ্কারকে নিঃশেষে সত্যের প্যায়ে নিবেদন না। করলে তো এরূপ নিরাভিমান উক্তি উদগত হয় না ! মহর্ষির অধ্যাত্ত্বি সাধনা যে কত গভীরতা লাভ করিয়াছিল। তাহার কিঞ্চিৎ আভাস আমি পাইয়াছি তাহারই এক উক্তির মধ্য দিয়া । তঁহার মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পূর্বোেব আমি একদিন র্তাহার নিকটে বসিয়া আছি । হঠাৎ তিনি আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলি লেন- “আমার অবস্থা কি রূপ জান ? বাপিয়ে পড়েছি কুলহীন অনন্ত সমুদ্রে, কিন্তু তার কোন ঠিকানা এখনও পাই নি। অধ্যাত্ম-সাধনার ফলে যে নূতন সত্যের জগৎ আমার জীবনে নেমে এসেছে তাকে ব্যক্ত করবার মত ভাষা আমার জানা নেই। সে অনন্ত, অব্যক্ত ।” তঁহার এই উক্তি শুনিয়া (t