পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর নয় সমন্বয়ের সুরটি তাঁহার জীবনবীণায় যে অপরূপ ঝঙ্কার তুলিয়াছিল। তাহার ফলেই তাহার অন্তরসত্তায় সৌন্দৰ্য্যবোধটিও এক বিস্ময়কর পরিণতি লাভ করে । তিনি ছিলেন। কাব্য ও সৌন্দৰ্য্যের পূজারী। পারসী কবি হাফিজের প্রতি মহৰ্ষির শ্রদ্ধা ও অনুরাগ যে কত গভীর ছিল তাহার একটি উল্লেখ আমি ইতিপূর্বে এ প্রবন্ধেই করিয়াছি। তিনি যে কেবলমাত্র কাব্য পাঠেই মগ্ন থাকিতেন তাহী নহে, প্ৰকৃত কাব্যরসিক ও কাব্যসমালোচক ও তিনি ছিলেন । বিশেষ করিয়া কবিদের সম্পর্কে তাহার একটি স্বতঃস্ফৰ্ত্ত আন্তরিকতা লক্ষিত হইত। স্বীয় পুত্ৰ সত্যেন্দ্ৰনাথ ও রবীন্দ্রনাথের কবিতার তিনি অনুরাগী ছিলেন এবং যাহাতে তাহদের কাব্য প্ৰতিভার স্ফারণ হয় তৎপ্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখিতেও তঁহার ভুল হইত না। নবীন কবিদের উৎসাহ বদ্ধনের জন্য তিনি তঁহাদের কবিতা প্রায়ই আমাদের সম্মুখে পাঠ করিতেন এবং সর্বদ। উপযুক্ত প্ৰশংসা করিতেও ছাড়িতেন না । মহর্ষি যে কিরূপ উৎসাহী কাব্যানুরাগী ছিলেন দাৰ্জিলিংয়ে থাকিবার সময় আমি তাহার কিছুটা পরিচয় লাভ করি। সে সময়ে একদিন তঁহার নিকট কলিকাতার বাড়ী হইতে প্ৰকাশিত ভারতী মাসিক পত্রিকার একটি সংখ্যা আসে। সেই সংখ্যাটিতে র্তাহার এক কন্যার লিখিত একটি কবিতা প্ৰকাশিত হয়। সংখ্যাটি পড়িতে পড়িতে লক্ষ্য করিলাম, কবিতাটির নীচে মহর্ষি পেন্সিল দিয়া লিখিয়া রাখিয়াছেন-তোমার কবিতা পাঠে যে Se