পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে কতদূর খুন্সী হয়েছি তা লিখে জানাতে পারিনে। ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি তোমার লেখনীনৈপুণ্য দিন দিন পরিণতি লাভ করুক । পত্রিকায় এজাতীয় মন্তব্য প্ৰকাশের উদ্দেশ্য বুঝিতে না পারিয়া মহৰ্ষিকে আমি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করি। তিনি উত্তর দিলেন, —এই সংখ্যাটি আমি কোলকাতায় পাঠিয়ে দেব। আমার সন্তানসন্ততি ও আত্মীয় স্বজন আমার মতামত এর মারফৎ জানতে পারবে, সেজন্যই এতে আমার অভিমত লিখে রেখেছি ।--এই ক্ষুদ্র মন্তব্যটি হইতে মহৰ্ষির গভীর কাব্যান্যরাগের পরিচয় পাইয়া বিস্মিত হইলাম । তখনকার সংরক্ষণশীল সমাজে মহিলাদের শিক্ষা, প্ৰগতি বা কাব্যানুশীলনকে এরূপ আন্তরিকতার সঙ্গে অনুমোদন ও উৎসাহ দান করিতে হইলে যথেষ্ট সত্যানুরাগ ও সৎসাহসের প্রয়োজন ছিল। অধ্যাত্মি-সাধক মহৰ্ষির জীবনের ব্যাপ্তিটি কিন্তু সাময়িকতার চিরন্তন সীমাকে অতিক্ৰম করিয়া সত্যের মধ্যে পরিপূর্ণতা লাভ করিয়াছিল । তাই অতি সহজে সন্তাকে গ্ৰহণ করিতে তাহার অসুবিধা হইত না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে সে সময়ে কাব্য, সঙ্গীত ও অন্যান্য চারুকলার অনুশীলনের একটি ধারা প্রবহমান ছিল । মহর্ষি স্বয়ং ছিলেন। সেই ধারার প্রাণকেন্দ্ৰ । তিনি জানিতেন ও বিশ্বাস করিতেন-শিল্প, সঙ্গীত, কাব্য s ()