পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর প্ৰভৃতির অনুশীলন ব্যতীত মানুষের মনের অন্তনিহিত সুকুমার বৃত্তিগুলি বিকশিত হইতে পারে না। মানুষের জীবনের পরিাপূর্ণতা সাধনে, লোকোত্তর সত্তার উদ্বোধনে এই চারুশিল্পগুলি অপরিহাৰ্য্য, ইহাই ছিল তাহার ধারণা। সেই জন্যই তাহার পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তি সে সময়ে জীবনের সর্ববঙ্গীন বিকাশ ও আদর্শের অনুসরণে সচেতন ছিলেন । জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে মহর্ষি সুন্দরের উপাসনা করিয়! আসিয়াছেন । অতি সাধারণ ঘটনাকেও তিনি সুন্দর ও ছন্দোবদ্ধভাবে উপস্থাপন না করিয়া ক্ষান্ত হইতেন না । গৃহে যখনই কোন উৎসব হইত, মণ্ডপ সজা হইতে আরম্ভ করিয়া প্রতিটি বিষয় তিনি নিজে দেখিতেন । কোন স্থানে কোন ক্ৰটি বা দৃষ্টিকটু কিছু থাকিলে তিনি তাহ সহ্য করিতে পারিতেন না। মহৰ্ষির সাধকোচিত ভাবগাম্ভীৰ্য্যের মধ্যে একটি রসিক মন ও বর্তমান ছিল । তিনি ফুল অত্যন্ত ভালবাসিতেন-এজন্য সকল সময়ই তাহার কক্ষের ফুলদানী ভরিয়া গুচ্ছ গুচছ ফুল রাখা হইত। একবাবি কয়েকটি তরুণী মহৰ্ষিকে দর্শন করিবার জন্য আমার সাহায্য গ্ৰহণ করিতে আসে । আমি তাহদের লইয়া মহৰ্ষির কক্ষে প্ৰবেশ করিতেই তিনি আমাদের সাদৰে গ্ৰহণ করিলেন । তারপর ঈষৎ হাসিয়া কৌতুক ভরে আমাকে বলিলেন—তুমি দেখছি পুষ্পদলে সজ্জিত হয়েই এসেছ ! এদেব সৌন্দৰ্য্যেই তো আমার কক্ষ শোভিত হয়ে উঠেছে। র্তাহার জীবনদর্শনে সঙ্কীর্ণতার কোন ঠাই ছিল না। একবার » و