পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজকের বাঙালীকে তাই শ্রদ্ধা-সহকারে পিতৃ-পুরুষদের নাম স্মরণ করতে হবে, তঁাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে,- তারা শুধু বাঙালীর পিতৃ-পুরুষ নন, বাঙালীর প্রাণ-পুরুষ । এই বইতে আচাৰ্য্য শিবনাথ শাস্ত্রী এই রকম সাতজন প্ৰাণ-পুরুষের অন্তর-পরিচয় দিয়েছেন, বিদ্যাসাগর, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, আনন্দমোহন বসু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, ডাক্তার মহেন্দ্ৰ লাল সরকার ও রাজনারায়ণ বসু। এবং এই পরিচয়গুলি চিরাচরিত জীবন-চরিত নয়, এগুলি হলো উপন্যাসের মত, গল্পের মত, একজনের দৃষ্টি দিয়ে অপরের জীবন দেখা । এবং সেই একজন হলেন, শিবনাথ শাস্ত্রী- সে যুগের জ্ঞান-পিপাসু এক অপরূপ জীবনশিল্পী, যিনি নিজের জীবনকে গড়ে তোেলবার জন্যে চারদিকে আকুল আগ্রহে খুজেছেন, কোথায় আছে জীবনের শক্তির উৎস ! এই সাতজনের সঙ্গেই প্ৰত্যক্ষভাবে তিনি মিলিত হন এবং তার নিজের মন দিয়ে এই সাতজনকে তিনি দেখেছেন এবং আমাদের দেখিয়েছেন । এইখানেই এই বই-এর সাহিত্যিকতা ও জীবন্ত ঐতিহাসিকতা । ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভক্তরূপে তিনি ঠাকুরের কাছে যাননি, বরঞ্চ সে যুগের বহু শিক্ষিত লোকের বিরূপ মন নিয়ে তিনি ঠাকুরের কাছে যান, কাছে গিয়ে সেই অদ্ভুত লোকটীকে যাচাই করে দেখবার জন্যে। সেখানে গিয়ে, দিনের পর দিন নিজের চোখ দিয়ে যা দেখলেন, অকপটভাবে তাই লিখে গিয়েছেন । তাই এই রচনাগুলিব একটা স্বতন্ত্র মূল্য, একটা স্বতন্ত্র মৰ্য্যাদা আছে । আজকের যুগের বিচারশীল মনের কাছে তাই ‘মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে’ বইখানি সমাদর পাবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই । এই অমূল্য বইখানিকে বাংলা ভাষায় নতুন করে আবিষ্কার করার দরুণ অনুবাদিককে আমার অন্তরের ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ভাল অনুবাদ নতুন আবিষ্কারের মতনই । (?ജറ്റു ജ്ഞ?്വദ