পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলে মহাষি তঁহাকে সাদর অভিনন্দন জানাইলেন । শ্রদ্ধেয় কেশব সেনের সহিত তাহার মতান্তর ছিল সত্য, কিন্তু ইহা কখনো উভয়ের মনান্তর ঘটাইতে পারে নাই । আর একথা বলিলে অত্যুক্তি হইবে না যে, এই যোগবন্ধনের মূলে ছিল মহৰ্ষির অপরিসীম উদারতা। বৃদ্ধ সাধকের অমায়িকতায় অতীতের মতানৈক্যের সমস্ত তিক্ততা বিস্মৃতির অতলে। চলিয়া গিয়াছিল । ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে নববিধান সমাজের বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে কেশব সেন মহৰ্ষিকে উপাসনা সভায় পৌরোহিত্য করিতে আমন্ত্রণ জানান । মহাষি ও সাগ্রহে তাহা গ্ৰহণ করেন । র্তাহার উপাসনা সভার বক্তৃত। কিন্তু প্ৰগতিপস্থী দলের সন্তোষ বিধান করিতে পারে নাই বরং নববিধান সমাজের কৰ্ম্মপদ্ধতি সম্পর্কে তাহার মন্তব্য তৰুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে উস্মার সঞ্চার করে। প্ৰাথনা সভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে মহর্ষি বলেন যে, কেশব সেন প্ৰবৰ্ত্তিত নূতন সমাজ সনাতন পথ ত্যাগ করিয়া পাশ্চ - ত্যের ভাবধারার প্রতি অধিক আস্থাবান হইয়াছে । এই ভ্ৰান্ত মনো ভঙ্গীকে তিনি “খুষ্ট বাতি ক' নামে অভিহিত করেন । অধ্যাত্মি-সাধনার ফলে মহৰ্ষির মন যে ভূমিতে উন্নীত হইয়াছিল সেখানে কোন বিচ্ছিন্নতা, কোন দলগত ভেদ ছিল না । তাহা সৰ্বকালের ও সর্ববদেশের পরম সত্য । সেকথা। পরে বুঝিয়াছিলাম। কিন্তু সেদিন মহৰ্ষির বক্তৃতা আমাকেও উত্তেজিত 9