পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর হস্তে একখানি ৭,০০০ টাকার চেক দিলেন । তারপর বিচারের ভঙ্গীতেই ইংরাজীতে যাহা বলিলেন তাহার মৰ্ম্মার্থ হইতেছেতোমাদের মন্দির নিৰ্ম্মাণে ইহা অামার সর্তহীন উপহার। সাধনাশ্ৰম প্ৰতিষ্ঠার সময় আমি ছিলাম। সেই পরিষদের কৰ্ম্মাধ্যক্ষ। মহৰ্ষি সেই সময় আমায় একদিন ডাকিয়া পাঠাইলেন ও আমাদের উদেশ্য ও কৰ্ম্মপদ্ধতি সম্পর্কে জানিতে চাহিলেন । আমি তা হার জিজ্ঞাস্য সকল প্রশ্নের উত্তর দিলাম । সেদিন। কিন্তু তাহার নিকট অর্থসংক্রান্ত কোন প্ৰস্তাব উত্থাপন করার কথাই চিন্তা করি নাই, তিনিই বরং স্বতঃপ্ৰবৃত্ত হইয়া আমাদের কাৰ্য্যের সংবাদ লইতেছিলেন । হৃষ্টচিত্তে গমনোদ্যত হইতেছি এমন সময় মহাষি বলি লেনথাম, কাৰ্য্য পবিচালনা করতে তো অর্থের প্রয়োজন, কিছু নিয়ে যাও । —আমায় কিছু বলিবার সুযোগ না দিয়েই তিনি বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ দিয়া দিলেন । যাহারা তাহাকে ত্যাগ করিয়া গিয়াছে অথবা যাহাদের মতবাদ সম্পর্কে তঁাহার আদৌ আস্থ। নাই, তাহদের কল্যাণের জন্যও এই বুদ্ধের অন্তর সকল সময়েই সচেতন থাকিত । তাহার অপার স্নেহের কোন বহিঃপ্ৰকাশ ছিল না। কিন্তু আমাদের সমস্ত অন্তর ইহার ধারায় প্লাবিত হইয়া যাইত । মহৰ্ষির এই সদা জাগ্ৰত, স্নেহপ্ৰবণ মনের পশ্চাতে কিন্তু )