পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহযি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর --আর বসে থাকা চলে না, সুতরাং ঘরা হতে বার হয়ে মহৰ্ষির নিকট নত মস্তকে দাড়ালাম। সংবাদ জেনে তিনি বোধহয় এক মিনিট স্তব্ধ হয়ে দাড়ালেন, তারপর বলে উঠলেন- ঈশ্বরের বিধান বিচিত্ৰ ! আমি এই বৃদ্ধ বয়সে পরপারে যাত্রা করবার জন্য বসে আছি আর আমার উপস্থিতিতে, সমস্ত দায়িত্ব আমার স্কন্ধে তুলে দিয়ে হেমেন্দ্র বিদায় নিয়ে গেল !—কথা কয়টি উচ্চারণ করেই তিনি আবার যথারীতি পদচারণা করতে লাগলেন যেন কিছুই ঘটে নি, এমন কি তার চেহারায় শোক বা দুঃখের কোন ছায়া পৰ্য্যন্ত পড়ল না । প্রিয়ানাথবাবু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া কিয়াৎক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রহিলেন, তারপর পুনরায় শ্রদ্ধায় অভিভূত হইয়া বলিলেন— গীতায় প্ৰকৃত ঋষির সংজ্ঞা বর্ণিত আছে- যিনি সুখে দুঃখে, হর্ষে বিষাদে অভিভূত হন না, ভয় বা ক্ৰোধ যাকে বিচলিত করতে পারে না এবং পাথিবি কোন বন্ধ নষ্ট যাকে বাধতে পারে না—তিনিই মুক্তাত্মা, মুনি। এরূপ যোগী বা ঋষির অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের কোনদিনই কোন ধারণা ছিল না । কিন্তু সেদিনের এই মৰ্ম্মান্তিক পটভূমিকায় মহৰ্ষির যে শান্ত, সৌম্য, পাশবিমুক্ত মূৰ্ত্তি দেখলাম তাতে বুঝলাম তিনি প্রকৃতই মহর্ষি। প্রিয়বাবুর কথা শুনিতে শুনিতে আমার ও মনের বিস্মৃতিলোকের দ্বার উদঘাটিত হইয়া গেল । দীর্ঘ জীবনের ব্যবধানটি অতিক্ৰম করিয়া মনে পড়িল, মহর্ষি সম্পর্কে পিতৃদেবের সশ্রদ্ধ V) グ>