পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रांस्कानांझां१° १ट्र গঠনে সহায়তা করে। মিতাচার দেখিতে অভ্যস্ত ছিলাম, একথা ঠিক, কিন্তু অমিতাচারকে আন্তরিক ঘূণা তখনও করিতে শিখি নাই । এমন সময়ে রাজনারায়ণবাবুর সহিত পরিচয়-এ পরিচয় কল্যাণকর না হইয়া পারে নাই । তঁহার সান্নিধ্যে আসিয়াই অমিতাচারকে নূতন করিয়া ঘূণা করিতে শিখিলাম। র্তাহার নিকট হইতে র্তাহার কৈশোর ও যৌবনের যে সকল গল্প শুনিয়াছি তা হাই এখানে বিবৃত করিব।-- রাজনারায়ণবাবুর পিতা বড়াল নিবাসী শ্ৰীযুক্ত নন্দ কিশোর বসু রাজা রামমোহন রায়ের অনুগত ভক্ত ছিলেন । সে যুগে রামমোহন ছিলেন শিক্ষিত বাঙ্গালীদের প্ৰোণকেন্দ্র । রাজা রামমোহন রায়ের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার ধারাটি একটু অদ্ভুত ধরণের ছিল। প্ৰাতঃকালে তিনি বাঙ্গালীদের মতই পড়িতে বসিয়া হাত দিয়া খাই তেন । ব্ৰাহ্মণ পাচ ক ৰ্তাহার রন্ধনাদি করিত। কিন্তু তঁহার রাত্রের অত্যারটি ছিল একেবারে ইংরেজী ধরণের । সে সময় তিনি বন্ধুবান্ধব ও অনুগামীদের লইয়া টেবিল চেয়ারে বসিতেন এবং অনুসঙ্গিক আহাৰ্য্য হিসাবে মদ্য পানিও করিতেন । কিন্তু মদ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্বন্ধে তিনি সব সময়েই অত্যন্ত সজাগ ছিলেন-নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশী কাহাকেও মর্থ্যপান করিতে দিতেন না । একদিন তাহার এক বন্ধু পরিহাসচ্ছলে তঁহাকে কিছুটা বেশী মদ পরিবেশন করেন। রামমোহন র্তাহার বন্ধুটির এই নীতিবোধহীন রসিকতায় অতি মাত্রায় ক্রুদ্ধ হইয়া চিৎকার as