পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্। আপো হি ষ্ঠেতি মন্ত্রেণ মায়য়া পুটিতেন চ | ত্রিরাবৃত্ত কুশাস্তোভিধু তদণ্ডোপবীতিনম, । ১৯৯ তদঞ্জলিং দিনেশায় দাতারং ব্রহ্মচারিণম | তচ্চক্ষুরিতি মন্ত্রেণ দর্শয়েদ্রাস্করং গুরুঃ ॥ ২০০ দৃষ্ট ভাস্করমাচার্য্যো বদেষ্মাণবকং ততঃ । ২০১ মম ব্ৰতে মনে ধেহি মম চিত্তং দদামি তে । জুয়ম্বৈকমন বৎস মম বাচোহন্তু তে শিবম ৷ ২০২ হৃদি পৃঃ পঠিত্বৈনং কিংনামাসীতি তং বদেং। শিষ্যত্ত্বমুকশৰ্ম্মাহং ভবন্তমভিবাদয়ে ৷ ২০৩ বালককে কৃষ্ণজিনযুক্ত যজ্ঞোপবীত এবং রেণু-নিৰ্ম্মিত, খদিরকাষ্ঠনিৰ্ম্মিত, পলাশ-কাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত অথবা ক্ষীরবৃক্ষ-নিৰ্ম্মিত দণ্ড প্রদান করিবে । অনস্তর গুরু দণ্ড ও উপবীত-ধারী বালককে, মায়া অর্থাৎ “ষ্ট্ৰী” এই বীজ কর্তৃক পুটিত অর্থাৎ আদি অস্তে যুক্ত করিয়া “আপো হি ঠা” এই মন্ত্র তিনবার উচ্চারণপূর্বক কুশজল দ্বারা অভিষিক্ত করিবেন, অনন্তর জল দ্বারা বালকের অঞ্জলিপূর্ণ করিবেন। পরে ব্রহ্মচারী সেই জলাঞ্জলি সুর্য্য উদ্দেশে প্রদান করিলে পর, ঐ ব্রহ্মচারীকে “তচ্চক্ষুদেবহিতং” এই মন্ত্র পাঠপূৰ্ব্বক গুরু স্বৰ্য্য দর্শন করাইবেন । পরে আচার্য দৃষ্ট-স্বৰ্ষ্য বালককে বলিবেন যে, “তুমি আমার ব্রতে মনোনিবেশ কর । আমি তোমাকে আমার চিত্ত প্রদান করিতেছি। হে বৎস! তুমি একমন হইয়া আমার ব্ৰত আচরণ কর । আমার বাক্যে তোমার কল্যাণ হউক ।” গুরু এই মন্ত্র পাঠ করিয়া বালকের হৃদয় স্পর্শপূৰ্ব্বক “ বৎস! তোমার নাম কি ?’ ইহা তাহাকে বলিবেন । শিষ্য কহিবে যে, “আমি আপনার শিষ্য। আমি অমুক শৰ্ম্ম, আপনাকে প্রণাম করি